Dilip Ghosh: রাজ্যের ফি বছর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার তিনি বিজেপি অফিসে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রের দেওয়া টাকা কোথায় গেল?’ তাঁর দাবি, ‘বাঁধ মেরামতি এবং খাল সংস্কারের জন্য গত ১০ বছরে বিশ্বব্যাঙ্ক ১২০০ কোটি টাকা দিয়েছে। কেন্দ্র দিয়েছে ১৭০০-১৮০০ কোটি টাকা। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আর বৃষ্টি হলেই ঘাটাল, খানাকুল, ডেবরা, নারায়ণগড়ে, হাওড়ার কিছু ব্লকে জল উঠে যায়। এবার তিনবার জল উঠেছে।‘
দুর্গাপুজো আবহে রাজ্যে চলা করোনা বিধিনিষেধ নিয়ে দিলীপ ঘোষের পরামর্শ, ‘বিধিনিষেধে আরও কিছু ছাড় দেওয়া হোক যাতে মানুষ পুজোতে আনন্দ করতে পারে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুজো আয়োজন লক্ষ্য হওয়া উচিত। মানুষ গত এক-দেড় বছর গৃহবন্দি। সকলের মধ্যেই মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। কয়েকটা দিন সকলে মিলে আনন্দ-উৎসব করুক এটাই কাম্য।‘
গত বছর বিজেপির কয়েকজন মিলে দুর্গাপুজো করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির মন্তব্য, ‘পার্টির কাজ পুজো আয়োজন করা নয়। গতবার আমাদের কয়েকজন মিলে পুজো করেছিলেন, আমার কোভিড হয়েছিল যেতে পারেনি। এবার করলে নিশ্চয় যাব। কিন্তু দলের তরফে কোনও পুজো করা হয় না।‘
ডিভিসি যেভাবে জল ছেড়েছে সেটা বড় অপরাধ। মেন মেড ক্রাইম। নবান্নে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে শনিবার এভাবেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘ডিভিসি কতবার আমাদের ডোবাবে? ডিভিসি কেন ড্রেজিং করবে না? কেন বাঁধ সংস্কার করছে না? পুজোর সময় মানুষ উৎসব করবে, না প্রাণ বাচাবে? বছরে ৪ বার বন্যা হলে আমরা কী করব? আমরা এবার ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইব।’
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘এত জল ডিভিসি আগে কখনও ছাড়েনি। একেবারে জল ছেড়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। উদনারায়ণপুর, আমতা ঘাটাল, ডেবরা-সহ পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক ব্লক জলের তলায়। আমি ঝাড়খণ্ড সরকারকে বলব বিষয়টি দেখতে। তারাও বাঁধগুলো সংস্কার করুক। আমি আবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব। আমার মুখ্য সচিবকে বলব কৃষি সচিব এবং ক্যাবিনেট সচিবকে চিঠি লিখতে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন