আবারও দিলীপ ঘোষের নিশানায় তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামিকালের কাঁথির সভা নিয়ে কড়া ভাষায় দুষেছেন দিলীপ ঘোষ। ''নেতার বাড়ির সামনে সভা করে উৎপাত করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।'' আগামিকাল কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে তৃণমূলের সভা প্রসঙ্গে বেনজির কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
শনিবার ৩ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে তৃণমূলের সভায় প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা আটকাতে শুভেন্দু কোর্ট পর্যন্ত দৌড়েছেন, তবে ফল মেলেনি। অভিষেকের কাঁথির সভায় নিষেধাজ্ঞা দেয়নি হাইকোর্ট। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন তৃণমূলকে দুষেছেন। তাঁর কথায়, ''কাউকে আটকাতে পারছে না। তাই নেতার বাড়ির সামনে সভা করে উৎপাত করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। নিজেদের পার্টির মধ্যে এত ঝামেলা, এত খুনোখুনি হচ্ছে। অন্যের বিরুদ্ধে লেগে কী করবেন?''
এরই পাশাপাশি এদিন ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে এদিন তিনি বলেন, ''আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দেশের নেতা হতে চাইছেন। আগে পাটনা যেতেন চা খেতেন। লখনউ, মুম্বই যেতেন। এখন আর কেউ ডাকে না, এখন চেন্নাই যাচ্ছেন।''
আরও পড়ুন- পারদ পতনে বাড়ল শীতের অনুভূতি, জাঁকিয়ে শীত দুয়ারেই? জানুন ওয়েদার আপডেট
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন। লা গণেশনের বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরে এসেছিলেন তিনি।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার রাজ্য সম্পর্কে নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও এদিন মিলেছে দিলীপ ঘোষের কথায়। রাজ্যপাল গতকাল রাজ্যের ভূসয়ী প্রশংসা করেছিলেন। যদিও দিলীপ ঘোষ মনে করেন সেটা প্রশংসা ছিল না। এদিন তিনি বলেন, ''রাজ্যপাল প্রসংসা করেননি। উনি চাইছেন পশ্চিমবঙ্গ দেশকে নেতৃত্ব দিক। আমরাও এটা চাই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়ার লোক নেই।''
এরই পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের নিশানা থেকে বাদ পড়েনি পুলিশও। রাজ্য পুলিশের একাংশকে তাঁর তোপ, ''পুলিশের ট্রেনিংটাই তো এখন পাল্টে গিয়েছে। আগে ভিড়, আন্দোলন সামলানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো পুলিশকে। এখন ওঁরাই আন্দোলনকারীদের খামচাচ্ছে, কামড়াচ্ছে, গলা টিপে দিচ্ছে। এই ধরেনর ট্রেনিং পুলিশে চালু হয়েছে। পুলিশের উপর কারও ভরসা নেই।''