মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা, মায়ের পরিচয় তুলে মন্তব্যের জেরে ফের বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির শাস্তি দাবিতে সরব তৃণমূল। সাংসদের 'কুরুচিকর' মন্তব্যের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন জোড়া-ফুলের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল। গোটা বিষয়টি জেনে ও পড়ে জগদীপ ধনকড় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদারের। তৃণমূল প্রতিনিধিদের থেকে সবটা শুনে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, কোনও মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ধরণের মন্তব্য উচিত হয়নি, এমনটাই দাবি করেছেন শাসক দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'রাজ্যপালের কণ্ঠে বিজেপির কথার প্রতিফলন দেখা যায়। কিন্তু আমরা রাজ্যপালকে জানিয়েছি যে, তৃণমূল সাংবিধানির কোনও পদের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের আস্থা রাখচে চাই রাজ্যপালের উপর। উনি বিভিন্ন বিষয় টুইট করেন। চাইছি যে এই বিষয়টিতেও হস্তক্ষেপ করুক। দেখব, উনি পারেন কিনা, নাকি বিজেপির নির্দেশে চুপ করে থাকন। তবে রাজ্যপাল এটাও মান্যতা দিয়েছেন যে, কোনও মহুলা মুখমন্ত্রীকে এধরণের কথা বলা উচিত নয়।'
তৃণমূল সাংসদ ও সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রীর কথায়, 'দুর্গরূপী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাবা-মা তুলে ওনার জন্ম নিয়ে যেভাবে দিলীপ ঘোষ অপমান করছেন তা বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে এসেছিলাম। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছি। ওঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। রাজ্যপাল সবটা পড়ে ও জেনে সঠিক পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।'
গত মঙ্গলবার মঙ্গলবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিতর্ক সভায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস স্লোগান তুলেছিল, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। সেই বাংলার মেয়ে স্লোগানকেই কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। বলেছেন, 'বাংলায় বলেন বাংলার মেয়ে। গোয়ায় গিয়ে বলেন, গোয়ার মেয়ে। বাপ-মায়ের ঠিকানা নেই না কি! যেখানে যা ইচ্ছা বলে দেবেন এটা হয় না কি?'
আরও পড়ুন- ‘বাপ-মায়ের ঠিকানা নেই!’, মমতাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
দিলীপকে নারীবিদ্বেষী বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপালের কাছে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে গিয়েছিলেন, সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার, মালা রায়, সাজদা আহমেদ, মন্ত্রী শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, বিধায়ক তাপস রায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।