এবার প্রাথমিকে নিয়োগেও জোর ধাক্কা রাজ্যের। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা দেখবে সিবিআই। আদালতের নজরদারিতেই চলবে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া। সময়ে-সময়ে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। এক কথায় প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগে যা নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রাথমিকে নিয়োগেও পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর আগে এবিষয়ে মামলায় রাজ্যের অস্বস্তি তুঙ্গে তুলে বেনজির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ একসঙ্গে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসরণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ-সহ একাধিক পক্ষ।
আরও পড়ুন- নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও-য় অভিষেক, কয়লাকাণ্ডে ED-র প্রশ্নবাণের মুখে তৃণমূল নেতা
ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে যায় মামলা। তবে ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের আগের রায়ই বহাল রেখেছে। এদিন মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় আগের রায়ই বহাল রাখা হল। একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাার্যকে অপসারণের যে নির্দেশ বিারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছিলেন তাও বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির যাবতীয় হিসেব পেশেরও নির্দেশ বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা দেখবে সিবিআই। সিঙ্গল বেঞ্চের নজরদারিতেই তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে বারবার নথি চেয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি কোনও ভুল করেননি বেই জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ নির্দেশও সমর্থন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়কে যুক্তিসঙ্গত বলেই বর্ণনা করেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।