দীপাবলির রাতের ফাইনাল পরীক্ষায় গতবারের তুলনায় কিছুটা স্বস্তিজনক ফল করল লালবাজার। তবে সুপ্রিম নির্দেশিকা পালনে একশোতে একশো পেল না শহর। কালীপুজোর রাতের মতোই এদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাত দশটার পরও শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার শব্দবাজি পুড়েছে। যদিও রাত বারোটার পর শব্দবাজির দাপট ধীরে ধীরে কমে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেল চারটে থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত মোট ৫২ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে লাউডস্পিকার সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা দুটি। গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ৯৩ জনকে। যা গতবার গ্রেফতারের সংখ্যার থেকে কিছুটা কম। গতবছর ১১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, অভিযোগ জমা পড়েছিল ৭৮ টি, যার মধ্যে লাউডস্পিকার নিয়ে অভিযোগ ছিল ১০ টি।
লালবাজারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, কালীপুজোর দিন বিকেল চারটে থেকে দীপাবলির দিন বিকেল চারটে পর্যন্ত মোট ৯৮ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ১৬১। ওই সময়ের মধ্যে মোট ১৩৪৮.৩ কেজি বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, সংযত রইল শব্দদানব, তবে সুপ্রিম নির্দেশ মানা হল কি?
অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও সচেতন হয়েছেন। পাশাপাশি, শব্দবাজি রুখতে কড়া হাতে সুপ্রিম নির্দেশিকা কার্যকর করেছে পুলিশ-প্রশাসন। এই দুইয়ে মিলিয়ে গতবারের থেকে কিছুটা হলেও কমেছে শব্দবাজির দাপট।
যদিও কলকাতার অদূরে হাওড়ায় মাঝরাত পর্যন্ত দেদার পুড়েছে শব্দবাজি। রাত সাড়ে ১১টার পরও আকাশে দেখা মিলেছে বাহারি ফানুসের।