Advertisment

দীপাবলিতে সাধের বাড়ি সেজে উঠুক ঝলমলে আলোয়, বাজারে ট্রেন্ডিং লাইট কোনটা জানেন?

দীপাবলি নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

author-image
Sayan Sarkar
New Update
Trending Diwali Light, Diwali 2023, light market Kolkata, ট্রেন্ডিং লাইট

দিওয়ালিতে ঝলমলে আলোতে সেজে উঠুক আপনার সাধের বাড়ি, জেনে নিন এবারের বাজারে ট্রেন্ডিং লাইট কোনটি ?

সামনেই আলোর উৎসব। দেশজুড়ে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। কালীপুজো-দিওয়ালি থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত চারদিকে ঝলমলে আলো বহর। মনটা যেন আনন্দে খুশি হয়ে ওঠে। পাড়ার এঁদো গলি থেকে রাজপথ চারিদিক আলোয় ঝলমল করছে। এমন সময় নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ব্যালকনিকে রং-বাহারি আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তুলতে সকলেরই মনটা যেন আনন্দে আনচান করছে।

Advertisment

 দীপাবলি নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। আর আলোর উৎসবের আগে কলকাতা সহ জেলা হাজার রমকের রঙবাহারি-রকমারি আলোকসম্ভারের পসরা সাজিয়ে বসিয়েছেন দোকানীরা। দুপুর নামতেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সন্ধ্যা নামলে তো তিল ধারণের জায়গা নেই। আলোর বাজারে ক্রেতাদের সেই চেনা ভিড় মুখে হাসি ফুটিয়েছে দোকানীদের। মাটির প্রদীপ থেকে শুরু করে হ্যাঙ্গিং চেন লাইট সবকিছুই বিকোচ্ছে রাজার হালে।

আলোর বাজারে টুনি বাল্ব, মোমবাতি, মাটির প্রদীপ, হ্যাঙ্গিং আলোর রকমভেদ চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। তবে এবার দিওয়ালির আলোর বাজারের মূল আকর্ষণ ওয়াটার ফ্লাওয়ার ক্যান্ডেল।  নয়া এই আলোর চাহিদাও আকাশছোঁয়া। জলের পাত্রে এই ফুল রাখলেই সুন্দর জ্বলে উঠছে ফুল। ৬ পিসের এই ওয়াটার ফ্লাওয়ার ক্যান্ডেলের দাম ১২০ থেকে ১৩০টাকা।

পাশাপাশি বাজারে মাটির প্রদীপ, হ্যাঙ্গিং প্রদীপ, নানান রকমের ফেয়ারি লাইটের চাহিদার পাশাপাশি অতিপরিচিত টুনি বাল্বের বিক্রিও রমরমা। এমনটা জানিয়েছেন চাঁদনি মার্কেটের আলোক ব্যবসায়ীরা। পাইকারির পাশাপাশি খুচরা বিক্রি আগের  বছরের তুলনায় বেড়েছে অনেকটাই। কলকাতার পাশাপাশি জেলা থেকেও দিওয়ালির আগে আলো কিনতে আসছেন ক্রেতারা।

দিওয়ালির বিকেলে ব্যালকনি থেকে ছাদে মোমবাতি জ্বালানো অনেকের কাছেই বিড়ম্বনা। তাদের সেই বিড়ম্বনা দূর করতে বাজারে এসেছে ব্যাটারি চালিত নানান নকশার ইলেকট্রিক মোমের সারি। সুইচ অন করলেও ঝামেলা থেকে মুক্তি। এক ডজন সেটের দাম ৬০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

তবে অনেক ক্রেতাই মাটির প্রদীপ কিনতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বাজারে এবার মাটির প্রদীপের ডিজাইনেও রয়েছে চমকের ছড়াছড়ি। চিন না টুনি লাইট থেকে শুরু করে, কৃত্রিম প্রদীপের যেখানে রমরমা সেখানে সেখানে চিরাচরিত মাটির প্রদীপে কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতেই মাটির প্রদীপের কপাল যে ফিরেছে তা মানছেন ব্যবসায়ীরা।

আলো ব্যবসায়ী রমাকান্ত দত্ত বলেছেন, ‘একটা সময় মাটির প্রদীপের চাহিদা একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল। ক্রেতারা ফিরেও তাকাতেন না। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে মাটির প্রদীপের ডিজাইনে এসেছে নতুনত্ব। সেক্ষেত্রে অনেক ক্রেতা এমনকি তরণ প্রজন্মের একাংশ চিনা জায়েন্টের হাতছানি দূরে ঠেলে আত্মনির্ভর ভারতে বিশ্বাস করছেন’।

কালীপুজোর আগে গড়িয়াহাট থেকে শ্যামবাজার, বড় বাজার থেকে চাঁদনি মার্কেট রমরমিয়ে চলছে বিকিকিনি। দিওয়ালির বিশেষ দিনে নিজেদের বাড়িকে আলোময় করতে চাইছেন প্রত্যেকেই। সবুহ আতসবাজি থেকে টুনি-মাটির প্রদীপ আলোর আনন্দে মাতুক কলকাতা-থেকে শহর-শহরতলী।

Diwali
Advertisment