পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় শুরু হয়ে ছিল পথশ্রী। পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লকে হওয়া সেই পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা সরজমিনে খতিয়ে দেখে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। ওই বেহাল রাস্তা পুননির্মাণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
শনিবার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী শনিবার রায়না ২ নম্বর ব্লকে রাস্তা পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। জেলাশাসক বেশ কয়েকটি এলাকার পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি যান মীরপুর থেকে রামচন্দ্রপুর কালিতলা পর্যন্ত ১.৭ কিলোমিটার পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি নতুন রাস্তা দেখতে। নতুন রাস্তার হাল দেখেই ক্ষোভ উগড়ে দেন জেলাশাসক। বিডিও অনিশা যশ ও দায়িত্বে থাকা বাস্তুকারকে রীতিমত ধমক দেন। বলেন, 'আপনারা ভাবলেন আমি কিছু না দেখেই রাস্তা পরিদর্শনে এসে হুশ করে গাড়ি নিয়ে চলে যাব।'
জেলাশাসক একদম প্রস্তুতি নিয়েই এদিন রাস্তা পরিদর্শনে বেরিয়ে ছিলেন। কোদাল দিয়ে পিচ রাস্তা খুঁড়ে জেলাশাসককে দেখানো হয় রাস্তার অবহস্থা। এতেই চক্ষু চড়কগাছ পূর্ণেন্দু মাজির। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন জেলাশাসক। তাদের সমস্যার কথা শোনেন। জেলাশাসক বিডিকে নির্দেশ দেন ওই রাস্তা আবার যেন নতুন করে তৈরি করা হয়।
স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসনের বাস্তুকার সহ আধিকারিকরা রাস্তা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এর আগে রায়নার ভূমিপুত্র তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার রাস্তার কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা রফিক শেখ, সনাতন রায়রা জানান, রাস্তার কাজ খুব খারাপ হয়েছে। হাত দিয়ে পিচ তোলা যাচ্ছে। আমরা চাই সঠিক ভাবে রাস্তা তৈরি করা হোক।
এ নিয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী বলেন, 'আমি অভিযোগ পেয়েছিলাম। সেই মত এ দিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখলাম ওখানকার রাস্তার কাজের মান খারাপ আছে। তাই ওই রাস্তা নতুন করে তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে এসেছি।'