বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তাঁর নানা দাওয়াই ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিকবার বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। কিন্তু তিনি বেপরোয়া। দল অস্বস্তি পড়লেও থামেননি তিনি। উল্টে আরও হাড় হিম করা হুঙ্কার ছেড়েছেন। দিন কয়েক আগেও ভাঙড়ের 'তাজা নেতা' আরাবুল ইসলামের হুঁশিয়ারি ছিল 'তৃণমূলের নামে যারা খারাপ ভাষা ব্যবহার করবে তাদের ধরে এনে হাত পা গুঁড়ো করে দিতে হবে।' এ হেন আরাবুলের মুখেই শোনা গেল অন্য কথা। যেন উলটপুরাণ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ে শান্তির বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম!
পঞ্চায়েতের মনোনয়ন তোলা ঘিরে শনিবারই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ভাঙড়ে। গর্জে উঠেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। কাঠগোড়ায় তুলেছিলেন তৃণমূলকে। অভিযোগের আঙুল ছিল আরাবুল-কাইজার বাহিনীর দিকে।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতর আগে কমিশনকে কড়া চিঠি আরেক কমিশনের! মাথায় হাত তৃণমূলের?
এর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভাঙড়ের মাঝেরহাট গ্রামে তৃণমূলের দেওয়াল জোর করে আইএসএফের বিরুদ্ধে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। এই মাঝেরহাটেই বাড়ি বিধায়ক ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওসাদ সিদ্দিকী। মনে করা হয়েছিল এই ঘটনাকে নিয়ে ফের তৃণমূল-আইএসএফ দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছবে।
আরও পড়ুন- ‘বাঘ’কেষ্টর গড়েই হাতের মোচড়, কব্জির জোরে রাতারাতি দখল তৃণমূলের সম্পত্তি!
যদিও সেই আশঙ্কা এখনও পর্যন্ত সত্যি হয়নি। সৌজন্যে 'তাজা নেতা' আরাবুল ইসলাম? কারণ দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরাবুলের বার্তা ছিল, 'কয়েকটা দেওয়াল লিখন করে আইএসএফ খুশি থাকলে করুক। আমি বলেছি মারপিটের দরকার নেই। দেওয়াল লিখন নিয়ে ভাঙড়ে কোনও অশান্তির দরকার নেই।'
যদিও আইএসএফের দাবি, একুশের বিধানসভা ভোটের পর তাদের দেওয়াল রাতারাতি তৃণমূলই দখল করে নিয়েছিল। সেগুলোই ফের পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বাম সহযোগী আইএসএফ জানাচ্ছে, দেওয়াল নিয়ে কিচ্ছু আসে যায় না, মানুষের মনে আছে পীরজাদা সিদ্দিকী ভাইয়েরা। পঞ্চায়েতের আগে দেওয়াল উদ্ধার করে আদতে আরাবুল-কাইজারদের খাসতালুকে তৃণমূলকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ল আইএসএফ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।