/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/doctors.jpg)
চিকিৎসক নিগ্রহের খতিয়ান নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর (প্রতীকী ছবি)
রাজ্যে চিকিৎসক নিগ্রহের কোনও খতিয়ান যে সরকারের কাছে নেই, এ কথা ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। এখন আদালতের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক নিগ্রহ নিয়ে যে মামলা করা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে আর কিছুদিনের মধ্যেই সেই মামলার শুনানি হবে। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকেও।
গত এপ্রিল মাসে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে বসেন চিকিৎসকরা। সে বৈঠকে চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্ব করেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। ফোরামের প্রেসিডেন্ট অর্জুন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ডাঃ দাশগুপ্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানান, "বৈঠকে আমরা ৮৬টি চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনার কথা জানানোর পর, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেন, ৮৬ নয়, ১০০টিরও বেশি ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনার হিসেব তাঁর কাছে রয়েছে। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।"
আরও পড়ুন, এনআরএস হাসপাতালে কুকুরের কামড়ে জখম শিশু
এর পর বহুদিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় ডক্টর্স ফোরামের তরফ থেকে বিষয়টির অগ্রগতি জানতে চেয়ে তথ্যের অধিকার আইনে আরটিআই করা হয়। সপ্তাহখানেকের কিছু আগে, সে আরটিআইয়ের জবাব আসে। ডাঃ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, "আরটিআইয়ের উত্তরে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনাবলীর কোনও পরিসংখ্যানই তাদের কাছে নেই।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/doctors-assault-rti-page-2.jpg)
"এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা চাইছি, পরিসংখ্যান দিয়ে যেন পুরো বিষয়টি সর্বসমক্ষে আনা হয়। আমাদের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সব চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনার কথা পৌঁছচ্ছে না।"
ডাঃ দাশগুপ্ত আরও বলেছেন, "এ ধরনের ঘটনায় যারা দোষী, ২০০৯ সালের আইন অনুসারে তাদের জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করার কথা। কিন্তু তেমন কোনও খবর আমরা পাচ্ছি না। আমাদের আশঙ্কা, কোনও রকম ব্যবস্থাই নেয় নি পুলিশ।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/doctors-assault-rti-answer.jpg)
সরকারের কাছে এ ব্যাপারে কোনও রকম খতিয়ান না থাকার ঘটনাকে 'দুঃখজনক' বলে আখ্যা দিয়েছেন চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরী। "এফআইআর হওয়া সত্ত্বেও এসব ঘটনার কথা নথিবদ্ধ না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক," বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
চিকিৎসক কৌশিক দত্তের মতে, "গোটা ঘটনায় স্পষ্ট যে পুলিশ বিষয়টিকে লঘুভাবে নিয়েছে।" তিনি বলেন, "দায়িত্ব এড়ানোর সহজতম উপায়, সমস্যার অস্তিত্ব জোর করে ভুলে থাকা।"