চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তাঁর লিভ ইন পার্টনার সেনা ডাক্তার কৌশিক সর্বাধিকারীকে জেরায় সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নাম জড়াচ্ছে কৌশিকের ঘনিষ্ঠ চার বাংলাদেশির!
পুলিশ সূত্রে খবর, কৌশিক জেরায় জানিয়েছে যে, প্রজ্ঞাদীপার মৃত্যুর দিন সন্ধেবেলা তিনি তাঁর চারজন বাংলাদেশি বন্ধুকে ব্যারাকপুরের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থান ঘোরাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। এছাড়া তাঁরা কৌশিকের বাড়িতেও যান। বসেছিল মদ্যপানের আসরও।
পুলিশ তদন্তে জেনেছে যে, ওই চারজন ভারতে এসে একটি কেন্দ্রীয় সরকারি গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন। কে তাঁদের ওখানে থাকার আয়োজন করে দিলেন? এই চারজন বাংলাদেশি ঘনিষ্ঠ কারা? কীভাবে ওই চার বাংলাদেশির সঙ্গে কৌশিক সর্বাধিকারীর এত ঘনিষ্ঠতা? সেদিন রাতে ওই চারজনকে কেন কৌশিক নিজের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন? এছাড়াও দেখা হচ্ছে যে, শুধুই কি ঘুরতে নিয়ে যাওয়াই উদ্দেশ্য ছিল? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে কোনও গোপন চক্রান্ত।
প্রজ্ঞাদীপা ব্যারাকপুর সেনা ক্যান্টনমেন্টের ইতিহাস নিয়ে বই লেখার কাজ শুরু করেছিলেন। তাতে সাহায্য করছিলেন কৌশিক। মঙ্গল পাণ্ডে থেকে সিপাহী বিদ্রোহ, ইতিহাসের সমস্ত দলিল ওই বইতে লিপিবদ্ধ থাকার কথা। এই বই লেখার কাজকর্মের সঙ্গে বাংলাদেশের ওই চারজন কোনওভাবে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সব প্রশ্নের উত্তরের জন্য কৌশিককে লাগাতার জেরা করছে পুলিশ। ওই চার বাংলাদেশির খোঁজ খবরও শুরু হয়েছে।
প্রজ্ঞাদীপার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট পেয়েছিল পুলিশ। তাতে লেখা ছিল, 'যে প্রহারের দাগ নিয়ে চলে গেলাম/ এর শোধ কেউ নেবে/ আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কৌশিক।' অর্থাৎ নিজের মৃত্যুর জন্য লিভ ইন সঙ্গী কৌশিককেই দায়ী করে গিয়েছেন প্রজ্ঞাদীপা। সেই সুইসাইড নোটের ভিত্তিতেই সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চলছে জেরা। চেষ্টা চলছে প্রজাদীপার রহস্য মৃত্যু কিনারার।