Doctor Rape and Murder: Doctor Rape and Murder: পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বুধবার রাতে প্রতিবাদের আগুন উসকে দিলেন আরজিকর-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের কেউ অভিযোগ করলেন যে, পুলিশ তাঁদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। তো কেউ অন্যকিছু। তবে, এই খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ-কাণ্ডে গোটা কলকাতা, সমগ্র বাংলা তথা গোটা বিশ্ব যে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে, বুধবার ফের তা স্পষ্ট হয়ে হয়ে গেল। কলকাতা থেকে শহরতলিতে প্রতিবাদে শামিল হলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। অন্ধকারের মধ্যে টিমটিম করে জ্বলে উঠল মোমবাতির আলো, জ্বলে উঠল ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট।
সাধারণ মানুষ থেকে টলিপাড়ার তারকারা, চিকিৎসক মহল থেকে রাজনৈতিক মহল, সমাজের বিভিন্ন পেশার অসংখ্য মানুষ যোগ দিলেই এই প্রতিবাদে। শহর কলকাতায় এই রাতে একাধিক ব্রিজ এবং বড় রাস্তাতেও আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আরজিকর হাসপাতালেও নিভে যায় আলো। বদলে জ্বলে ওঠে অসংখ্য মোমবাতি। শহর কলকাতার আনাচ কানাচ্ছে ছড়িয়ে পড়েছিল প্রতিবাদের এই ঢল, বিচারের দাবি। শহরের সীমানা পেরিয়ে শহরতলিও শামিল হয়েছিল এই প্রতিবাদে।
চিকিৎসকদের প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা, কাকা-কাকু, দাদারা। তাঁরা পুলিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্যাতিতার বাবা জানান, তাঁরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রচুর পুলিশ থানা ঘিরে রেখেছিল। তাঁদের দেহ দাহ করতে বাধ্য করা হয়। তাঁদের দিয়ে সাদা পাতায় সই করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। চাপ দিয়ে তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করা হয় বলেই নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁরা জানান, পুলিশ গোটা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন- প্রকাশ্য দিবালোকে পরপর কিশোরীকে ছুরির কোপ, বাংলায় বিরাট প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা
এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল রাজভবনও। আন্দোলনকারীদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ে নিভে গিয়েছিল রাজভবনের আলো। টলিপাড়া-সহ সমাজের বিভিন্ন মহলের শিল্পীরা গত কয়েকদিন ধরেই বারবার প্রতিবাদের সামনের সারিতে থেকেছেন। প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন আর পাঁচজনের মতই। বুধবার তাঁদের দেখা গেল সেই ভূমিকা নিতে। যা বুঝিয়ে দিল, শহর কলকাতা প্রতিবাদ করতে ভোলেনি।