Maldah: পোশাক পরিবর্তনের ঘর পাওয়াকে ঘিরে নার্সদের সাথে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন নার্সিং স্টাফেরা। বুধবার বিকালে মালদা মেডিকেল কলেজের এমন ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভকারী নার্সিং স্টাফদের অভিযোগ, মেডিকেল কলেজের গাইনো এবং মহিলা বিভাগের নার্সিং স্টাফদের জন্য এতদিন পৃথক ভাবে চেঞ্জিং রুম ছিল। কিন্তু সেই ঘরগুলি বর্তমানে মহিলা চিকিৎসকদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে নার্সিং স্টাফদের নতুন করে পোশাক পরিবর্তনের ঘর পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে দাবি জানানো হয়েছিল। সেই মতো এদিন মেডিকেল কর্তৃপক্ষ কনফারেন্স রুমে নার্সিং স্টাফ দের চেঞ্জিং রুমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সময় মেডিকেল কলেজের একজন সিনিয়র চিকিৎসক হঠাৎ করে কয়েকজন নার্সিং স্টাফদের উদ্দেশ্য করে দুর্ব্যবহার এবং অশালীন ইঙ্গিত করে বলে অভিযোগ। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকশ নার্সিং স্টাফেরা কর্মবিরতি রেখেই, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
এদিন বিক্ষোভকারী নার্সিং স্টাফ পৌলমী বাগচী বলেন, 'আরজিকর কাণ্ডের পর মালদা মেডিকেল কলেজের সমস্ত চেঞ্জিং রুমগুলি পরিদর্শন করেছে মেডিকেল কলেজের পদস্থ কর্তারা। এরপর মেডিকেল কলেজের মূলত মাতৃমা বিভাগে এইসব চেঞ্জিং রুমে মহিলা ডাক্তারদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল তাহলে নার্সিং স্টাফদের কোথায় এবং কিভাবে চেঞ্জিং রুম পাওয়া যাবে। সেই বিষয়টি নিয়ে এদিন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি বৈঠক ডেকেছিল। তাতে আমাদের সিনিয়র কিছু নার্সিং স্টাফেরাও ছিলেন । পাশাপাশি প্রবীণ চিকিৎসক এবং মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের পদস্থ কর্মকর্তারাও ছিলেন। সেখানে হঠাৎ করে একজন সিনিয়র চিকিৎসক মহিলা নার্সিং স্টাফদের উদ্দেশ্য করে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে এবং দুর্ব্যবহার করে । তারপরেই আমরা কর্মবিরতি ডাক দিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হই। যদিও মেডিকেল কলেজের জরুরীকালীন পরিষেবা চালু রয়েছে। কিন্তু ওই চিকিৎসক যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ আমাদের এই বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলবে'।
এদিকে এবিষয়ে মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখার্জি জানিয়েছেন, মাতৃমা বিভাগে মহিলা চিকিৎসকদের চেঞ্জিং রুমের বিষয়টি তদারকি করা হয়েছে। পাশাপাশি নার্সিং স্টাফদের জন্য চেঞ্জিং রুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে এদিন মিটিং ডাকা হয়েছিল। তবে নার্সিং স্টাফদের যে অভিযোগ, তা সঠিক জানা নেই। পুরো বিষয়টি বসে আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।