গর্ভবতী কুকুরকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। বর্ধমানের এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে। পশুপ্রেমী বিধায়ক তথা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় বলেন, "ওই রাক্ষসী মহিলার যথোপযুক্ত শাস্তি চাই। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই।" মহিলার বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, গর্ভবতী একটি কুকুরের গায়ে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান শহরের গোদা এলাকায়। এরপরই এক মহিলার বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জমা করেছে একটি পশুপ্রেমী সংগঠন। এই ঘটনায় ওই কুকুরটির সদ্যজাত দুটি বাচ্চাও আগুনে পুড়ে রবিবার রাতেই মারা গিয়েছে। সোমবার বিকেলে অর্ধ দগ্ধ মা কুকুরটি আরও তিনটি মৃত সন্তানের জন্ম দেওয়ার মারা যায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে এই পৈশাচিক ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছে বর্ধমান থানায়। বর্ধমান থানার পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। মঙ্গলবার বর্ধমানের নবাবহাট পশু হাসপাতালে মৃত কুকুরগুলির ময়না তদন্ত করা হয়।
বর্ধমানের কুকুর হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পশুপ্রেমী তথা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। রায়দিঘির বিধায়ক বলেন, "ওই মহিলা মানুষ না রাক্ষসী? এই পৈশাচিক কাণ্ড কেউ ঘটাতে পারে? এরা মানুষরূপী পশু। এদের চিহ্নিত করা উচিত। মহিলার কি সন্তান আছে? কী করে এমন নৃশংস কাজ করতে পারল? আমার ঘৃণা হচ্ছে। কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।"
মর্মান্তিক এই ঘটনায় আলোড়িত হয়েছে শহর। বর্ধমানের পশু প্রেমী সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , গোদা এলাকার খন্দকর পাড়ার বাসিন্দা আয়েশা বিবি পেশায় আয়া। রবিবার রাতে তাঁর বাড়ির সামনে একটি গর্ভবতী কুকুরকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় এবং সদ্যজাত দুটি বাচ্চাকেও মেরে ফেলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের সংস্থায় এই ঘটনার বিষয়ে জানান। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার বিকেলে আধ পোড়া মা কুকুরটি আরও তিনটি মৃত সন্তান প্রসব করার পর মারা যায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে না পারলেও স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছেন, ওই কুকুরটি অভিযুক্তের বাড়ির মুরগি খেয়ে নিয়েছিল। এই কারণেই নাকি অবলা পশুগুলিকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন এলাকাবাসীদের একাংশ। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছে সংস্থাটি।