সাগরেই তার অবাধ বিচরণ। সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে তালে তার সাঁতার কাটার দৃশ্য যে কারও কাছেই আকর্ষণীয়। সমুদ্রে সাঁতার কাটতে কাটতে সে যেন দিকভ্রান্ত হয়ে ঢুকে পড়েছিল নদীতে। সচরাচর নদীতে তো তাকে দেখা যায় না! ধবধবে সাদা রঙের ওটা কী! তাকে দেখে খানিকটা এমন অবস্থাই হয়েছিল কয়েকজন মৎস্যজীবীর। কয়েক মুহূর্তেই তাঁরা বুঝলেন, এটা ডলফিন। ইছামতি নদী থেকে বিরল প্রজাতির সাদা ডলফিন উদ্ধার করা হল। যার উদ্ধারকাহিনী দেখতে রীতিমতো ভিড় জমিয়েছিলেন অগণিত মানুষ।
সোমবার দুপুরে বাদুড়িয়া থানার ইছামতি নদীর পলতা ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয় ডলফিনটিকে৷ বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাত ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা ডলফিনটি। এখন ডলফিনটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। তাকে ঝড়খালির ফরেস্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ গন্ডারের মৃত্যুতে জলদাপাড়ায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, শুরু ভ্যাকসিনের কাজ
(ভিডিও- উৎসব মণ্ডল)
জানা গিয়েছে,শনিবার বিকেল বাদুড়িয়া এলাকার মৎস্যজীবীরা ইছামতি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দেখতে পান ওই সাদা ডলফিনটি৷ তাঁরা জানিয়েছেন নদীতে কালো রঙের ডলফিন দেখা গেলেও এই প্রথম কোনও সাদা ডলফিনের দেখা মিলল। তাঁদের অনুমান, খাবারের সন্ধানে বঙ্গোপসাগর থেকে দিক ভুল করে নদীতে ঢুকে পড়েছে ওই ডলফিনটি।
ইছামতীর জলে সাদা ডলফিনের খবর চাউড় হতেই দলে দলে মানুষ এসে ভিড় করে নদীর পাড়ে৷ খবর যায় বন দফতরে। রবিবার থেকে বসিরহাট বন দফতরের পক্ষ থেকে ডলফিনটিকে নজরে রাখা হয়েছিল। দিন-রাত বসানো হয়েছিল পাহারাদার। এদিন সকালে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে নিয়ে নদীতে জাল ফেলে কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বাদুড়িয়ার পলতা ঘাট থেকে ডলফিনটি ধরে ফেলেন বন দফতরের কর্মীরা। বসিরহাটের রেঞ্জার নীলাঞ্জন সেন বলেন ‘‘প্রায় ৪৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আমরা সুস্থ অবস্থায় সাদা রঙের বিরল প্রজাতির ডলফিনকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তাকে প্রথমে ঝড়খালি ফরেস্টে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সাগরে ছেড়ে দেওয়া হবে’’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন