কলকাতার ঐতিহ্য ট্রাম। এক শতাব্দিরও বেশি সময় ধরে শহরের বুকচিরে তিরতির করে এগিয়ে চলেছে ট্রাম। এবার সার্ধশতবর্ষে পা দেবে তিলোত্তমার ট্রাম। কিন্তু কালের নিয়মে ট্রাম এখন ক্রমশ নস্টালজিয়া। কফি শপ, শপিং মল মিউজিয়ামে সংরক্ষণের পথে। কলকাতা থেকে প্রায় অবলুপ্তির পথে এই দূষণহীন যান। তবে প্রাচীন কলকাতার ঐতিহ্যকে রাখতে এবার পরিবহণ মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়রের কাছে আর্জি জানালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়রের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ বলেছেন, 'ট্রাম আমাদের কলকাতার ঐতিহ্য। সেই ট্রাম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি কলকাতার মেয়রকে অনুরোধ করব বিষয়টি যাতে দেখেন।'
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ, 'কলকাতার ট্রাম নিয়ে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। দেখবেন যাতে বন্ধ না হয়ে যায়।'
অধ্যক্ষের অনুরোধের পর বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমাদের সরকারের ট্রাম বন্ধের কোনও অভিপ্রায় নেই। কিন্তু মেট্রো রেলের কাজ ও অন্য কিছু কারণে বেশ কয়েকটি রুটের ট্রাম চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।রয়েছে। বেশ কয়েকটি রুটের লাইন খারাপ, তাই বন্ধ। তাও দেখছি কী করা যায়।'
১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলেছিল। যা ক্রমে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হয় বিদ্যুৎ চালিত। ট্রাম শহরের ঐতিহ্যের অংশ। তবে গতির যুগে গুরুত্ব হারাচ্ছে ট্রাম। আগে ২৫টি রুটে ট্রাম চললেও বর্তমানে তা সীমাবদ্ধ মাত্র ২টি রুটে। এখন ট্রাম চলাচল করে ধর্মতলা-গড়িয়াহাট এবং বালিগঞ্জ-টালিগঞ্জ রুটে। শহরের গতি বজায় রাখতে ব্যস্ত রাস্তায় ট্রাম লাইন তুলে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা পুরনিগম ও লালবাজার।