আচমকাই বিরাট বদল মামলায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা। সুকন্যা মণ্ডল-সহ মোট ছ'জনের হাজিরা নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। টেট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১ সেপ্টেম্বর।
বাবার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। বুধবারই অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়ে হাইকোর্টে এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক আইনজীবী। শুধু সুকন্যাই নয়, অনিয়ম করে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মণ্ডল, পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অর্ক দত্ত, ভাইপো সাত্যকী মণ্ডল ও আরও দুই ঘনিষ্ঠ কস্তুরি চৌধুরী ও সুজিত বাগদিও, এমনই অভিযোগ ছিল ওই আইনজীবী সামিমের।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে-সুকন্যাকে টেটের সার্টিফিকেট নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুকন্যার পাশাপাশি তাঁর কাকা-দাদা-সহ আরও পাঁচজনকেও যোগ্যতার প্রমাণপত্র নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- ‘গরু চোরের মেয়ে’, অনুব্রত কন্যাকে বেনজির কটাক্ষ হাইকোর্ট চত্বরে
তবে আচমকাই মামলায় বিরাট বদল। এদিন নির্ধারিত সময়েই শুনানি শুরু করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, অনুব্রত কন্যা-সহ মোট ছ'জনের অনিয়ম করে চাকরির অভিযোগ সংক্রান্ত অতিরিক্ত হলফনামা তিনি পড়েছেন। ভালো করে সেই হলফনামা খতিয়ে দেখার পর তাঁর মনে হয়েছে এই মামালায় এখনই সুকন্যা-সহ ওই ছ'জনের আদালতে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকী তাঁদের সার্টিফিকেট জমা দেওয়ারও এখন কোনও দরকার নেই বলেই মনে করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন- ‘কেউ ছাড় পাবেন না’, হাত জোড় করে বললেন পার্থ, কাদের ইঙ্গিত?
গতকালের জমা দেওয়া ওই অতিরিক্ত হলফমনামা এদিন গ্রহণও করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এখনই সুকন্যা-সহ ওই ৬ জনে রহাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে প্রয়োজনে নতুন করে মামলা করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।