Advertisment

জোড়া খুন দিয়ে বর্ষ শেষ কলকাতার

দুপুরে হাটগাছিয়া এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন হলেন তারক মণ্ডল নামে এক যুবক। অন্যদিকে, সকালে আড়ুপোতা এলাকায় খালের ধারে আবিষ্কৃত হলো এক অ্যাপ ক্যাব চালকের মৃতদেহ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kolkata double murder

জোড়া খুন দিয়ে বছর শেষ করল কলকাতা

বছরের শেষ দিনে শহরে জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কলকাতার প্রগতি ময়দান থানার অন্তর্গত ট্যাংরা অঞ্চলে। দুপুরে ওই অঞ্চলের হাটগাছিয়া এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন হলেন তারক মণ্ডল ওরফে 'মাতাল' নামে এক যুবক। প্রাথমিক আঘাত পাওয়ার পর প্রাণভয়ে দৌড়েও নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না তিনি। দুই হত্যাকারী বাইকে করে তাঁকে তাড়া করে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন। ঘটনার পর থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা, মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।

Advertisment

অন্যদিকে, সকাল এগারোটা নাগাদ জে ডব্লিউ ম্যারিওট হোটেল সংলগ্ন আড়ুপোতা এলাকায় খালের ধারে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়। পরে জানা যায়, মৃতের নাম ইমরান খান (৩২), পেশায় অ্যাপ ক্যাব চালক, ট্যাংরার স্যার সৈয়দ আহমেদ রোডের বাসিন্দা। পুলিশের অনুমান, মাথায় ভারী অস্ত্রের আঘাতের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, যদিও ফরেন্সিক তদন্ত শেষ না হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে না। দেহ আবিষ্কার হওয়ার পর ঘটনাস্থলে যান গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা ও ডগ স্কোয়াডের কর্মীরা। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে যুবককে নগ্ন করে মারধর, গোপনাঙ্গে আঘাত

সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে ইমরান তাঁর বাড়িতে ফোন করে জানান, যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায় নি। আজ সকালে তাঁর গাড়িটি দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান আড়ুপোতার বাসিন্দারা, এবং সন্দেহ হওয়াতে আশেপাশে খুঁজে সামান্য দূরেই দেখতে পান ইমরানের দেহ। এর পরই খবর যায় প্রগতি ময়দান থানায়, এবং মৃতের তল্লাশি করে মেলে তাঁর ঠিকানা।

ঘটনার তদন্ত করছে প্রগতি ময়দান থানা। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনাস্থলেই খুন হয়েছেন ইমরান, না অন্য কোথাও খুন করে তাঁকে এখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

kolkata police crime
Advertisment