Digha: সমুদ্রনগরী দিঘা এবার পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হবেই হবে! আগেই এব্যাপারে প্রশাসনিক ঘোষণা হয়েছিল, সেই মতো উদ্যোগ নেওয়াও শুরু হয়েছে। যার জেরে দিঘা সমুদ্র সৈকত চত্বর থেকে শুরু করে আশেপাশের এলাকার ভোলই বদলে যাচ্ছে। বেড়াতে গিয়ে এবার দিঘার সমুদ্র পাড়কে যেন নতুন করে আবিষ্কার করছেন পর্যটকেরা।
দিঘায় (Digha) সমুদ্র সৈকতের ধারে ও লাগোয়া রাস্তার ধার আটকে বসে থাকা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ বা DSDA-এর। আগেই এব্যাপারে মাইকিং করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। গত কয়েকমাস ধরেই সি-বিচের (Sea Beach) ধারে অবৈধভাবে দোকান বেঁধে বসেছিলেন বহু মানুষ।
সরকারি নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ব্যবসা করছিলেন তাঁরা। রাস্তা ও সমুদ্র সৈকতের জায়গা দখল করে বসেছিলেন তাঁরা। যার জেরে দিঘায় বেড়াতে গিয়ে সমুদ্র সৈকত বা তার লাগোয়া এলাকায় হাঁটাচলাতেও যারপরনাই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন পর্যটকরা (Tourists)।
অবৈধ দোকানদারদের সরাতে উচ্ছেদ অভিযান এর আগেও হয়েছে দিঘায়। তবুও দিঘার সৈকতে মেটেনি হকার (Hawkers) সমস্যা। তাই, এ বছর পর্যটনের (Tourism) মরশুমে গোটা দিঘাকে ‘নো হকার্স জোন’ (No Hawkers Zone) হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিল দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
আরও পড়ুন- Digha: এবার ফাটাফাটি মজায় জমে ক্ষীর দিঘা! পর্যটকদের মনোরঞ্জনে দুরন্ত তৎপরতা সমুদ্রনগরীতে!
ওল্ড দিঘা (Old Digha) এবং নিউ দিঘায় (New Digha) ১১৬ বি জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত রাস্তার পাশে থাকা হকারদেরও আর পসরা সাজিয়ে বসতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষ। অনেক দোকানদারই সরকারি স্টল পেয়েছেন। তবুও তাঁদের একাংশ সরকারি স্টলের সীমানার বাইরে গিয়ে রাস্তায় বসে পড়ছেন। যার জেরে বিশেষ করে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দারুণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।
ডিএসডিএ-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরও কোনও হকারকে বেআইনিভাবে বসতে দেওয়া হবে না। ওল্ড দিঘা এবং নিউ দিঘা জুড়ে চলবে অবৈধ হকার উচ্ছেদ অভিযান। গত কয়েক বছর ধরে সৈকত শহর দিঘা হকার সমস্যায় জর্জরিত।
সমুদ্র সৈকত জুড়ে দিনভর হকারদের দাপটে সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। বেশ কয়েকবার প্রশাসনিকভাবে অভিযান চালিয়ে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন স্টলও দেওয়া হয়েছে। তবে এরপরেও সমুদ্রের ধার জুড়ে গজিয়ে উঠেছে সারি সারি অবৈধ স্টল।
আরও পড়ুন- Premium: নব্বই পেরিয়েও লক্ষ্যে অবিচল, পেটের তাগিদে বৃদ্ধার লড়াই অনুপ্রেরণা জোগাবে
গত বছর বড়দিনের আগে এই হকার সমস্যা মেটাতে আন্দোলনে নেমেছিলেন স্থায়ী দোকানদারেরা। তা নিয়ে ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল সৈকত নগরীতে। যাতে এবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য আগেভাগে ডিএসডিএ-র এই উদ্যোগ বলেই দাবি প্রশাসনের। প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দিঘায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকেরা।