'দুয়ারে সরকার', 'দুয়ারে রেশনে'র পর এবার 'দুয়ারে জামাইষষ্ঠী'। হুগলি জেলার রিষড়ার পিয়ারাপুর পঞ্চায়েতের সদস্য সুদর্শন বরের এক অভিনব প্রয়াসে এলাহিকাণ্ড। কিন্তু এই 'দুয়ারে জামাইষষ্ঠী' বিষয়টা কী?
সুদর্শন বরের নিজের দুই মেয়ে। দ'জনেই বিবাহিত। প্রত্যেকবার ঘটা করে বাড়িতেই হয় জামাইষষ্ঠীর আয়োজন। কিন্তু, এবার আর নিজের দুই মেয়েকে নিয়ে নয়, সুদর্শন এলাকার ৪০০ দম্পতিকে নিয়ে জামাইষষ্ঠী উদযাপন করেছেন। রীতিমত প্যান্ডেল টাঙিয়ে, ভূরিভোজ করানো হয় মেয়ে, জামাইদের। এখানেই শেষ নয়। মেয়েদের জন্য ছিল নতুন শাড়ি উপহারও।
মেয়ে-জামাইয়ের পাতে কোনও কিছুর কমতি ছিল না এদিন। শুরুতেই ছিল গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য আমের শরবত। তারপর মধ্যহ্নভোজে মেনুতে ছিল ভাত, ভেজ ডাল, আলুর চিপস, দই কাতলা, মুরগির মাংস, খাসির মাংস, চাটনি, পাঁপড়, রসগোল্লা, পন্তুয়া, আইসক্রিম ও পান।
'দুয়ারে জামাইষষ্ঠী' কর্মসূচির মূল উদ্যোক্তা সুদর্শন বর বলেন, 'আমার নিজের দুটি মেয়ে জামাই আছে। তাঁরা আসে প্রতিবার। কিন্তু, এলাকায় বহু মেয়ে জামাই আছে যাদের হয়তো পরিবারের সেরকম সামর্থ নেই বড় করে জামাইষষ্ঠী পালন করার। আবার অনেকের বাবার বাড়িতে এখন আর কেউ জীবিত নেই। কিন্তু তাঁদেরও ইচ্ছা হয় জামাইষষ্ঠীতে আসার। তাই সেসব মেয়ে জামাইদের কথা মাথায় রেখেই এই আয়োজন।'
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। সেই বিবেচনাতেই কী এই প্রয়াস? সুদর্শনের কথায়, 'কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে এদিন এই জামাইষষ্ঠী অনুষ্ঠান করা হয়েছে।'