রাজ্যজুড়ে আবারও বসছে 'দুয়ারে সরকার' শিবির। দাবদাহের কথা বিবেচনা করে আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে 'দুয়ারে সরকার' শিবির, যা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। শিবিরে জমা পড়া আবেদন পত্রগুলি ১ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত 'প্রসেস' করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisment
'পাড়ায় সমাধান' শিবির হবে ৫ থেকে ২০ মে পর্যন্ত। পাড়ায় সমাধানে জমা হওয়া আবেদনের মধ্যে ৫ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত কাজের ছাড়পত্র জেলাশাসকই দিতে পারেন। এই নিয়ে লিখিত গাইডলাইন দেবেন মুখ্য সচিব।
বুধবার রাজ্য প্রশাসনের সব দফতরের সচিব, জেলাশাসক এবং পুলিশকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই বৈঠকেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন তিনি। সঙ্গে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
Advertisment
এর আগে দু'বার দুয়ারে সরকার' শিবির বসেছিল। সেগুলিতে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ নাম নথিভুক্ত করার জন্য পৃথক বন্দোবস্তও ছিল। ফলে সেই প্রকল্প-সহ স্বাস্থ্যসাথী, নতুন কৃষকবন্ধু ইত্যাদি প্রকল্পে বেশিরভাগ উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে ব্লক-পুরসভা পর্যায় পর্যন্ত সরকারের এত দিনের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রচার চলবে। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে মোট ১.৩৭ লক্ষ দুয়ারে সরকার শিবির হয়েছে। ৬ কোটি ৪৪ লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকারের শিবিরে এসেছেন। তার মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন।
মানুষের সুবিধার্থে দুয়ারে সরকার প্রকল্প যতদিন চলবে, তত দিন খুব প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মীরা ছুটি পাবেন না। আর রবিবার এবং অন্য সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকবে এই প্রকল্পের কাজ।
এ দিনও কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। ৯৭ হাজার কোটি কেন্দ্রের কাছে পাই। দিচ্ছে না। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম হবে বাংলা ভাষায়। বাংলার মানুষের সুবিধার্থেই এ রকম করা হবে।'