Bengal Covid Update: ১৬ মে থেকে শুরু করে ৯ অক্টোবর টানা চলছে রাজ্যে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। একটা সময় রাত ৯টা-ভোর ৫টা অবধি রাত্রিকালীন বিধি কার্যকর ছিল। ক্রমে সেই বিধি খানিকটা শিথিল করে এখন রাত ১১টা-ভোর ৫টা অবধি রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ কার্যকর রাজ্যে। এবার পুজোর জন্য ১০ অক্টোবর-২০ অক্টোবর রাজ্যে নেই কোনও বিধিনিষেধ। উঠে যাবে রাত্রিকালীন বিধিও।
এই প্রসঙ্গে নবান্নের একটি সুত্রে বলছে, একটা সময় রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৩২%, বিধি নিষেধ চাপিয়ে সেই হার ৫%-এর নীচে নামানো হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে সেই হার ৩%-এর অনেক নীচে। কিন্তু তাতেও কমছে না উদ্বেগ। কারণ দৈনিক সাড়ে ৭৫০ সংক্রমণের গেঁরো থেকে বেরোতে পারছে না রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দক্ষিণবঙ্গের। মোট দৈনিক সংক্রমণের ৫০% কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে আসছে। এমনটাই স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে উল্লেখ।
মাঝে শুধু একদিন ৬০০-র নীচে ছিল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু উৎসব যত এগোচ্ছে, ততই দৈনিক সংক্রমণের ওঠানামা ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। গত ছয় দিনে (২ অক্টোবর থেকে ধরলে) মাত্র দুই দিন ৭০০-র নীচে ছিল দৈনিক সংক্রমণ। বাকি ৫ দিন ৭০০-র উপরেই থেকেছে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ।
মহালয়ার দিনে আবার প্রায় ৮০০ ছুঁইছুঁই (৭৮৬) সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার কিছুটা কমে ৭৭১ ছিল গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ। এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে ঠাকুর দেখাতে পথে নেমেছে বঙ্গবাসী। শ্রীভূমির প্যান্ডেলের সাম্প্রতিক চিত্র (যদিও সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা) সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। মহালয়ার দিনেও শহরের ঘাটে ঘাটে ছিল না কোনও সচেতনতার বার্তা। পুরোদমে পুজো শুরু হওয়ার আগে শনিবার ও রবিবার অর্থাৎ চতুর্থী এবং পঞ্চমীর দিনেও মানুষ পথে নামবে। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে চলবে শেষ মুহূর্তের পুজোর কেনাকাটা।
তাই আগামি ৭ দিন করোনার সঙ্গে যুদ্ধে নবান্নের লড়াইটা বেশ টক্করের। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ আদালত, পুলিশ, প্রশাসন এবং পুজো কমিটি বাইরেও সংক্রমণ রোধে কিছু নাগরিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা নিয়েই এবার মানুষ পথে নামলে মন্দের ভালো। এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
ইতিমধ্যে রাজ্যব্যাপী প্রায় ৬ কোটির বেশি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৪ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। প্রায় এক কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ দুটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। তাই ছোঁয়াছুঁয়ি থেকে ব্যাপক সংক্রমণ প্রতিহত করা গেলেও, কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হবে সংক্রমণ হার এবং দৈনিক সংক্রমণ। তাই সম্প্রতি পুজো উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও আবেদন করেছেন, সজাগ, সতর্ক এবং নিরাপদ ভাবে উৎসব উদযাপনে। এবং ঠাকুর দেখতে বেরোলে অবশ্যই মুখে মাস্ক এবং ঘনঘন স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন