দফায়-দফায় বৃষ্টির জের। এবার ধস দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের মাতলার শাখা নদীর বাঁধে। নৈপুকুরিয়া নদী বাঁধের বেশ কিছুটা অংশে ধস নেমে বিপত্তি। রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধস মেরামতির কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে সেই কাজ প্রতিনিয়ত বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে উপকূলের এই জেলায় বৃষ্টি কমেছে। দ্রুত ধস মেরামতির কাজ সেরে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।
গত কয়েকদিনের দফায়-দফায় বৃষ্টির জেরে নদীর জলস্তর বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। এমনিতেই এবারের বর্ষা রীতিমতো ছন্দে ছিল। একটানা বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি চলেছে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র। সেই কারণেই নদীগুলির জলস্তর আগেভাগেই বেড়ে রয়েছে। এর উপর বর্ষা বিদায়ের মুখে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ফের এক দফায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল বেশি। যার জেরে নদীর জলস্তরও বেশ কিছুটা বেড়ে যায়। জলের তোড়ে নৈপুকুরিয়া নদী বাঁধে ধস নামে। নদীর পাড়ে দেউলবাড়ী পঞ্চায়েতের কাঁটামারী বাজার চত্বর ও আশেপাশের গ্রামগুলিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বাঁধ ভেঙে গেলে এক ঝটকায় ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যেতে পারে গোটা এলাকা। ঘোর আশঙ্কায় এলাকাবাসী। তবে বাঁধের ধস মেরামতির কাজও পুরোদমে শুরু হয়েছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল নদী বাঁধের। জলস্ফীতির জেরে মাটির এই বাঁধের একাধিক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছিল। বেশ কিছু জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছিল গ্রামে। তবে সেবারও বাঁধ মেরামতির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এবার গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফের বিপত্তি। দফায়-দফায় বৃষ্টির জেরে নদী গর্ভের মাটি সরে গিয়ে নৈপুকুরিয়া নদী বাঁধের বেশ কিছুটা অংশে ধস নেমে যায়।
কাঁটামারী এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই নদী বাঁধ সংস্কার হয় না। তাই জলের তোড়ে প্রায়ই বাঁধে ধস নামে। কোনও কোনও সময় বাঁধের ফাটলের জেরেও জল ঢুকে পড়ে লাগোয়া গ্রামগুলিতে। নোনা জল ঢুকে এলাকার চাষবাসও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি বাসিন্দাদের। এলাকায় পাকা বাঁধ তৈরির দাবি বাসিন্দাদের। মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার জানিয়েছেন, প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁধ সারাইয়ের কাজ চলছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন- সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় ডিজেল, ফের দাম বাড়ল পেট্রোলের
অন্যদিকে কুলতলীর বিধায়ক গনেশচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, আমফান ও ইয়াসের জেরে এই এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙেছিল। সেই বাঁধ পরে ফের সারাই করা হয়েছে। তবে এবার অবিরাম বৃষ্টির জেরে বাঁধের বেশ কিছু অংশের ক্ষতি হয়েছে। বাঁধ সারাইয়ের কাজ চলছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন