মকর স্নান শেষ। সবাই এবার সাগর থেকে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু, বাধ সাধল কুয়াশা। যার ফলে সকাল প্রায় ১১টা পর্যন্ত মুড়িগঙ্গায় ভেসেল পরিবহণ বিপর্যস্ত হয়। আর, এর ফলে এখন গঙ্গাসাগরে আটকে কয়েক লক্ষ যাত্রী।
Advertisment
প্রশাসন বারবার মাইকে ঘোষণা করছে। গাড়ি চলাচল বন্ধ। কচুবেড়িয়া আর লট ৮-এর এপার ও ওপারে যে ভেসেলগুলো চলাচল করা শুরু করেছে, তাদের এই বিপুল পরিমাণ যাত্রীর চাপ সামাল দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু, যাত্রীরা সকলেই প্রায় একসঙ্গে বাড়ি ফিরতে চান। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
তার মধ্যেই গঙ্গাসাগরের নতুন বাস স্ট্যান্ডে কাতারে কাতারে তীর্থযাত্রীরা ভিড় করতে শুরু করেন। সবাই ঘাটে গিয়ে ভেসেল চাপতে চান। সেখানেও দেখা দেয় বিপত্তি। বাসে বা গাড়ির সংখ্যাও কম। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। বারবার বাসস্ট্যান্ডে মাইকে ঘোষণা করা শুরু করেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাতেও পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র বদলায়নি। বরং, ঘাটে যাওয়ার জন্য যাত্রীসাধারণের চাপ বাড়তে থাকে।
এই সমস্যার মধ্যে আটকে পড়েন মেলা ও স্নানের পরিস্থিতি কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরাও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা তথ্য আধিকারিক অনন্যা মজুমদার অবশ্য পরিস্থিতি জটিল হওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, 'কুয়াশার জন্য সকালের দিকে ভেসেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল। তাই একটু সমস্যা তৈরি হয়েছে। না-হলে পরিস্থিতি মোটের ওপর ঠিকই আছে।'
তার মধ্যেই কয়েকটি বাসের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেয় প্রশাসন। একইসঙ্গে ঘাটে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ থাকায় যাত্রীদের সাগর এলাকা ছেড়ে না-যাওয়ার জন্য মাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, উদ্বিগ্ন যাত্রীদের মধ্যে সেসব ঘোষণা শোনার মত মানসিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তপনকান্তি দাস নামে এক যাত্রী বলেন, 'আমি প্রায় সকাল ১১টা থেকে মুড়িগঙ্গার ঘাটে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু, এত যাত্রী চাপ যে কিছুতেই যাওয়ার জন্য গাড়ি পাচ্ছি না। ওদিকে ভেসেল চলাচলও দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল। কয়েক লক্ষ যাত্রী ঘাটে দাঁড়িয়ে আছেন। কীভাবে ফিরব বুঝে উঠতে পারছি না।'