Mango Tree In Malda Has Not Yet Budded: কনকনে ঠান্ডায় ক্রমাগত শুকিয়ে যাচ্ছে আম গাছের পাতা। জানুয়ারি মাসের তিন সপ্তাহ ইতিমধ্যেই পার, তবুও আম গাছের মুকুলের কুড়ি ফোটেনি। যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে চাষিদের।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গাছে আমের মুকুল না আসলে লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে চাষিদের। যার ফলে এখন থেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মালদার অধিকাংশ আম চাষিরা। একাংশ আম চাষিদের বক্তব্য, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় শৈত্য প্রবাহ চলছে, তাতে ঠিকভাবে আম বাগানের পরিচর্যা করা যাচ্ছে না। সারাদিন ঘন কুয়াশা এবং মেঘলা আবহাওয়া থাকছে। ঠিকমতো রোদের আলো পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম স্যাঁতসেতে আবহাওয়া থাকায় বিভিন্ন ধরণের পোকার আক্রমণ বাড়ছে গাছে। যার জেরে অনেক ক্ষেত্রে এই সময়ে আম গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে আমের মুকুল ফোটার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মালদা জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার অর্থকরী ফল হিসাবে সর্বদাই পরিচিত আম। জেলায় প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়ে থাকে। জানুয়ারি মাসেগোপালভোগ, হিমসাগর, লক্ষণভোগ, জিলাপিগারা, আম্রপলি প্রভৃতি ধরণের আম গাছে মুকুলের কুঁড়ি ফুটে যায়। শিশির থেকে হালকা জলেই গাছের পাতাও পরিষ্কার হয়ে থাকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা ও মেঘলা আবহাওয়ায় কিছু কিছু আম বাগানে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কনকনে ঠান্ডা থাকলেও এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ঝলমলে রোদ। তাহলে আম গাছের রোগ পোকার সম্ভাবনা কম থাকে।
ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি এলাকার আমচাষী রাহানুর আলম, শাহাজাহান শেখদের বক্তব্য, 'বছরে একটা সিজন আম উৎপাদন এবং বেচাকেনা করেই রোজগার হয়। এ বছর ডিসেম্বর থেকে শুরু করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শীতের দাপট তেমন ছিল না। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে মালদায় কনকনে ঠান্ডা আর মেঘলা আবহাওয়াই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। এরকম স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থাকায় গাছের পাতাতে ঝলমলে রোদের আলো পড়ছে না। ফলে এক ধরণের সাদা পোকার আক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্যানপালন দপ্তরের সহযোগিতা এবং পরামর্শের দাবি জানাচ্ছি।'
উদ্যানপালন দপ্তরের জেলা আধিকারিক সামন্ত লায়েক জানিয়েছেন, এই সময়ে আম চাষিরা অনেক ক্ষেত্রে পরিষ্কার জল দিয়ে গাছের পরিচর্যা করেন। গাছের গোড়াগুলি সুন্দর করে মাটির দিয়ে বাঁধিয়ে পরিস্কার রাখেন। মূলত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই আম গাছে অল্প বিস্তর মুকুল ধরতে শুরু করে। তবে এখন এই পরিস্থিতিতে আম চাষিদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরামর্শ নিয়েই গাছের পরিচর্যা করা উচিত।