Advertisment

মানভঞ্জনের চেষ্টা? তৃণমূলের বড় দায়িত্বে তাপস রায়

এক ঢিলে দুই পাখি মারল তৃণমূল?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dum dum barrackpore organizational district tmc president post has given to tapas roy, মানভঞ্জনের চেষ্টা? তৃণমূলের সংগঠনে বড় দায়িত্বে তাপস রায়

বরানগরের বিধায়ক তথা দলের অভিজ্ঞ মুখ তাপস রায়।

উত্তর কলকাতা জেলা তৃমূলের সভাপতি পদকে কেন্দ্র করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস রায়ের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছিল। পুজোর পর সাংসদ বিধায়কের কাজিয়ায় অস্বস্তি বেড়েছিল শাসক দল তৃণমূলের। তবে, সময়ের সঙ্গে আন্দরের কোন্দল অনেকটাই থিথিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তৃণণূলের সংগঠনে বড় পদ পেলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। তৃণমূল কংগ্রেসের দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বর্ষীয়ান তাপস রায়কে।

Advertisment

পছন্দের উত্তর কলকাতা জোটেনি। বদলে দলের দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দায়িত্ব মিলেছে। এতে সন্তুষ্ট তাপস রায়। বলেন, 'দমদম, ব্যারাকপুরে ১৪টি বিধানসভা, দু'টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। অনেক বড় দায়িত্ব দিল দল। নেতৃত্ব আমাকে যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটাই তখন আমি পালন করেছি। এবারেও সেটাই করব।'

এতদিন তৃণমূলের দমদম, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে ছিলেন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তবে, শেষ রাজ্য মন্ত্রিসভা রদবদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী করেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবর্তীত তৃণণূলের 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি মেনে সাংগঠনিক সভাপতির পদ ছাড়তে হয় পার্থ ভৌমিককে। এতদিন ফাঁকাই পড়েছিল ওই পদটি। বুধবার দমদম, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করা হল তাপস রায়কে। দলের তরফে প্রেস বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়।

বড়দিনের দিনই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ নিজের ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। ওই ছবিতে দেখা যায়, বিধায়ক তাপস রায়কে খাওয়ানোর জন্য কেক নিয়ে হাত বাড়িয়েছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ দলীয় গোষ্ঠী রাজনীতিতে এঁরা পরস্পর বিরোধী। ছবির ক্যাপশনে কুণাল লিখেছিলেন, 'বড়দিনের শুভেচ্ছা, কেকসহ।' তাহলে কী সুদীপ-তাপস দূরত্ব মিটেছে? প্রশ্ন দানা বাঁধতে থাকে। এরপর নতুন বছরের শুরুতেই সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন তাপস রায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পোড় খাওয়া তাপস রায়কে দিয়ে যেমন দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ পূরণ হল, তেমনই সুদীপ-তাপস বিবাদও কমিয়ে ফেলা গেল বলে মনে করছে তৃণমূল।

Sudip Banerjee Tapash Ray tmc
Advertisment