বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতির ও খুনের ঘটনা তোলপাড় পড়েছে। অপরাধীদের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগ তুলে পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সাংসদ অর্জুন সিং। এমনকী নিজের নিরাপত্তাও ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এবার ব্যারাকপুরে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য নিয়ে মুখ খুললেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কেন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বারংবার দুষ্কৃতী তাণ্ডব হচ্ছে? তা নিয়েই নয়া তত্ত্ব খাড়া করেছেন বর্ষীয়ান এই সাংসদ।
কী বলেছেন সৌগত রায়?
অর্জুন সিং যখন একদিকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তখখন সৌগত রায় বলেন, 'শিল্পাঞ্চল এলাকায় কারখানা হয়ে গেলে তরুদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বাড়ে। এক শ্রেণির শ্রমিকদের চাকরি চলে যায়। কর্মহীন তরুণরা অপরাধের দিকে ধাবিত হয়। ব্যারাকপুরে শুধু ২২টি জুট মিল আছে। দমদমে রয়েছে ৪টি। নিয়োগ কমে গেলেই কিছু ছেলে বেরিয়ে হয়ে আসবে। তারা অপরাধের দিকে যাবে। এই সব এলাকায় দুস্কৃতীরাজ চলে। পুলিশকে এইসব এলাকা কড়া নদরদারিতে রাখতে হবে। ব্যারাকপুর চটকল নির্ভর। কারখানা বন্ধ হলে এসব হবেই। অন্য জায়গায় তো এত অপরাধ হয় না।'
আরও পড়ুন- খালি মায়ের কোল! স্বপ্ন চুরমার ঐন্দ্রিলার! ব্যারাকপুরে নিহত যুবকের শ্বশুরবাড়িতে হাহাকার
তাহলে কী পুলিশি নজরদারি পর্যাপ্ত হচ্ছে না? পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলা নিয়ে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বক্তব্যের সঙ্গে কী সহমত বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ? সৌগত রায় বলেন, 'অর্জুন বিজেপিতে ছিল, এখন আমাদের দলে এসেছে। চাই ও তৃণমূলেই থাকুক। ওঁর এলাকার জুটমিলের সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করক অর্জুন সিং। স্থানীয়রা বলছেন কেন্দ্রের বরাত খুব কমে গেছে। কেন্দ্রের কাছে অর্জুন দরবার করলে ওঁর সঙ্গে আমরাও থাকব। কিন্তু, পুলিশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বারে বারে মুখ খোলাটা ঠিক হচ্ছে না। প্রয়োজনে দলের মধ্যে অর্জুন সিং সব বলুন।'
শুক্রবার কী বলেছেন অর্জুন সিং?
বুধবারের ভয়ঙ্কর ঘটনার পর পুলিশকে বিঁধেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। শারীরিক সক্ষমতা ও দুষ্কৃতীদের সঙ্গে উর্দিধারীদের যোগসাজশ নিয়ে তোপ দেগেছিলেন। আর শনিবার অর্জুন সিং বলেন, 'জলজ্যান্ত নিরীহ ছেলেকে মেরে দিল। অপরাধীরাও নিরাপত্তা পাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ গুলি খেয়ে মরছে! ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না। এ দিকে আমি নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। লজ্জা করে।'
আরও পড়ুন- ব্যারাকপুর শুটআউট: ২ দাগী দুষ্কৃতীকে জালে পুরে বিরাট আশঙ্কা খোদ পুলিশেরই!
আরও জানুন- কীভাবে পরিচয়? কেন নাম নিলেন অভিষেকের? জেরায় খোলসা করে কী বললেন কুন্তল?