জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। টোটো ও ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু একই পরিবারের চার সদস্য-সহ মোট পাঁচজনের। সোমবার ভোরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ঝিঙ্গুটি এলাকায়। এদিন ভোরে এই দুর্ঘটনার জেরে সাময়িক যানজট তৈরি হয় বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রত্যেকেরই বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে। এদিন ভোরে ঝিঙ্গুটি এলাকায় জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল একটি টোটো। সেই টোটোয় ছিলেন দেওয়ানদিঘির পালিতপুরের গ্রামের একই পরিবারে চার মৎস্যজীবী। পাশের গ্রাম সিজেপাড়ার মইনুদ্দিন মিদ্যার টোটোয় চেপে মাছ ধরতে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা।
মইনুদ্দিনের এক আত্মীয় শেখ সাবির জানিয়েছেন, টোটোয় চেপে এদিন ভোরে পালিতপুর গ্রাম থেকে একই পরিবারের চার মৎস্যজীবী রওনা দিয়েছিলেন। পথেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, টোটোটি বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল। সেই সময়েই গুসকরার দিক থেকে দ্রুত গতিতে একটি পাথর বোঝাই ডাম্পার এসে সজোরে টোটোয় ধাক্কা মারে।
আরও পড়ুন- দীর্ঘদিন ধরে শিকলবন্দি কিশোর, টাকার অভাবে আটকে মানসিক রোগের চিকিৎসা
ডাম্পারের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় টোটোটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টোটো চালক-সহ গাড়িতে থাকা চার মৎস্যজীবীর। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। ততক্ষণে এলাকায় ভিড় জমে গিয়েছে। জাতীয় সড়কে সাময়িক যানজট তৈরি হয়। পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ডাম্পারের বেপরোয়া গতির জন্যই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে আরও বেশি তৎপরতা নিতে আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত টোটো ও ডাম্পারটি আটক করেছে পুলিশ। তবে দুর্ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই ডাম্পারের চালক ও খালাসির। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।