করোনা অতিমারীর ধাক্কায় পুজোয় এবার আনন্দ একেবারে ফিকে। আর তা দেখে প্রকৃতিরও যেন মনখারাপ। পুজোর দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। ষষ্ঠীতে ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়া দিয়েই এবার বাংলায় দেবীর বোধন হয়েছে। সপ্তমীর সকালেও একই অবস্থা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে আরও গভীর হয়েছে। যার প্রভাবে আজ, সপ্তমীতেও দিনভর বৃষ্টি চলবে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
কী জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যাোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। কলকাতা থেকে ৩৫০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে এটি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে’’।
আরও গভীর নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস সপ্তমীতে #iebangla pic.twitter.com/rrOK1H6Tzv
— Indian Express Bangla (@ieBangla) October 22, 2020
আরও পড়ুন: সংক্রমণে রেকর্ড ভাঙল পঞ্চমীতে, বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪০৬৯
নিম্নচাপের প্রভাবে কী হবে?
সঞ্জীব বন্দ্যাোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় সপ্তমীতে দুই ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে’’।
নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলা মূলত পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি। কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেডে বইবে ঝোড়ো হাওয়া, সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৫০ কিমি।
মৎস্যজীবীদের ২২-২৪ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তুমুল বৃষ্টির জেরে শহুরে এলাকায় জল জমতে পারে। সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের যেতে বারণ করা হয়েছে। সুন্দরবনে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন