Bengal Covid Update: পুজোর আগেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের ৮০০ ছুঁইছুঁই কোভিড গ্রাফ। একদিনে সংক্রমিত ৭৮৪, মৃত ৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৭৪৬ জন। কিন্তু এই পরিসংখ্যান আমূল বদলে যেতে পারে যদি মানুষ সচেতন না হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং আইসিএমআর-এর পরামর্শ, উৎসবের মরশুম যতটা সম্ভব ঘরে বসেই উদযাপন করুন মানুষ। বাইরে বেরোলে দুটি টিকা-সহ মাস্ক বাধ্যতামূলক। এমনকি, সতর্ক এবং সচেতন হয়ে পুজো আয়োজনে প্যান্ডেলগুলোকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে নবান্ন।
একই ভাবে সংক্রমণ এড়াতে এ বছরেও পুজো প্যান্ডেলগুলোতে নো-এন্ট্রি চাপিয়েছে হাইকোর্ট। সীমিত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে পুজোর আয়োজনে জোর দিয়েছে আদালত। কিন্তু এসব পরামর্শ-নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দ্বিতীয়ার সন্ধ্যা থেকেই পথে মানুষ। উত্তর শহরতলির শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো এবারেও সবার আগে দরজা খুলেছে। আর দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাকে কলকাতায় দেখতে দলে দলে মানুষ ভিড় করেছে ওই পুজো প্যান্ডেলে।
এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে স্বাস্থ্য কর্তারা। ঠাকুর দেখার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে পুজোর কেনাকাটা। এরপর শুরু হবে পুজোর আড্ডা এবং খাওয়া-দাওয়া। কিছু শতাংশ মানুষ আবার প্যান্ডেলে ঢুকতে পারবে না। এই ক্ষোভে পাহাড়-জঙ্গল কিংবা সমুদ্রমুখী। বাঙালির এমনিতেই পায়ের তলায় সর্ষে। পুজো আসলে সেই সুড়সুড়ি আরও বাড়ে। পাশাপাশি গত প্রায় দেড় বছর ঘরবন্দি থেকে এই পুজোয় বেশি করে শহরের বাইরে পুজোর চার রাত কাটাতে আগ্রহী। এসব কারণে চলতি পুজো সুপার স্প্রেডার হয়ে উঠতে পারে। কারণ এখনও করোনার দ্বিতীয়ও ঢেউ কমেনি। দেশে গড়ে প্রায় ২০ হাজার দৈনিক সংক্রমণ। হাফ ডজন রাজ্যের সংক্রমণের হার ৫%-এর উপরে। একধাক্কায় আর ভ্যালু ১-র উপরে বেড়ে গিয়েছে। দুর্গোৎসবে মেতে ওঠা বাংলায় আবার দৈনিক সংক্রমণ গত কয়েকদিনের বিচারে সাড়ে ৭০০-৮০০-র মধ্যে ঘুরছে।
তাই আগামি এক সপ্তাহ বেশি করে সতর্ক থাকতে আর্জি জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার দুই পুজো কমিটির বক্তব্য, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আমরা প্যান্ডেলকে নো-এন্ট্রি করে দিলাম। পুলিশ-প্রশাসনকে সাহায্য করলাম। এসওপি মেনেই পুজো আয়োজন করছি। কিন্তু মানুষ মুখে মাস্ক না পরলে বা দলে দলে পথে নামলে সেটা আটকাবো কী করে?’ উত্তর কলকাতার এক প্যান্ডেলের এক কর্তার আবার কটাক্ষ, ‘নাগরিক কর্তব্য বলে একটা জিনিস থাকে। সেটা ভুলে যাই বারবার। আমাদের পুজো থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে হাতিবাগান বাজার। সেখানে গেলেই দেখা যায় মানুষ কতটা অসচেতন।‘
এবিষয়ে আবার প্রশাসনকে কড়া হতে বলছে চিকিৎসক মহল। তাঁদের পরামর্শ, ‘প্যান্ডেলে ঢুকতে গেলে দুটি টিকা এবং মুখে মাস্ক একদম বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হোক। এর হেরফের হলেই ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। কারণ যত পুজো এগোবে আরও শিথিল হবে বিধি এবং করোনা নিয়ে উদাসীন হতে থাকবে মানুষ। এখন থেকেই সেই চেতনা ফিরিয়ে আনা দরকার।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন