দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দুর্গাপুর। পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে জনরোষের শিকার হতে হল পুলিশকেই। পুলিশ ফাঁড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে বোমাও নিক্ষেপ করা হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, নিশানহাট বস্তি ও তালতলা বস্তির মধ্যে গোলমাল বাধে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধেয় নিশানহাট এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি চলে। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশকে দেখে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। এরপরই পুলিশের উপর হামলা চালায় জনতার একাংশ। দুর্গাপুর থানার এ জোন ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক মোদীর নেতৃত্বে যায় পুলিশ বাহিনী। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জ করা হয় বলেও খবর। এলাকায় নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স। ডিসিকে লক্ষ্য বোমা ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বারাসাত, গুরুতর আহত ৪ পুলিশকর্মী
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রাজনৈতিক গোলমালের জেরেই ওই এলাকায় হামলা হয়েছে। সূত্রের খবর, গাঁজা বিক্রি নিয়ে অশান্তির জেরে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তি নটু পুরপিতা মৃগেন পালের অনুগামী বলে দাবি। এ ঘটনাকে ঘিরেই অশান্তি ছড়ায় ওই এলাকায়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অশান্তি ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতেও। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে লাগাতার ইটবৃষ্টি। ছোঁড়া হয় বোমাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ঘটনায় আহত হন ২৫ জন বাসিন্দা। পুলিশ তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একটি অপহরণের খবর পেয়ে ওই এলাকায় যায় পুলিশ। কিন্তু, স্থানীয় জনতার হাতে আক্রান্ত হতে হয় বাহিনীকে।