Advertisment

'কথা না বললে হবে না', মমতার সঙ্গে সাইকেলে চড়ে সাক্ষাৎ করতে আসছেন বর্ধমানের অম্বদীশ

'দিদিকে বলো' ফোন নম্বরে ফোন করেছিলেন। তখন তাঁকে বলা হয়েছে, সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গিয়ে কথা বলতে। তাই জখম পা নিয়েও সাইকেলে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অম্বদীশ চট্টোপাধ্যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
durgapur news, দুর্গাপুরের খবর

অম্বদীশ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: মনতোষ পোদ্দার।

রাজ্য জোড়া ‘দিদিকে বলো’-র প্রচার দেখে তিনি নাকি দু'বার ওই নম্বরে ফোন করেছেন। তাছাড়া 'ভরসা' রাখতে পারেননি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের উপরও। এবার তাই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে নিজের সমস্যার কথা বলতে চান পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা অম্বদীশ চট্টোপাধ্যায়। সে জন্যই বুধবার সকালে সাইকেলে চড়ে মমতার সঙ্গে দেখা করতে রওনা দিয়েছেন প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তি।

Advertisment

আরও পড়ুন: ওয়াটার এটিএম আছে, কিন্তু জলই নেই

ঠিক কী সমস্যা অম্বদীশের?

২০১৪ সালে ভাতারের বড়বেলুন এলাকার বাসিন্দা অম্বদীশ চট্টোপাধ্যায় দুর্ঘটনায় পায়ে চোট পান। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তাই স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অম্বদীশবাবু। প্রশাসনের কাছেও দরবার করেন তিনি। কিন্তু তাও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড মেলেনি। শেষ পর্যন্ত কোনও সুরাহা না হওয়ায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন অম্বদীশবাবু। যেমন ভাবা, তেমন কাজ, এদিনই সাইকেলে চড়ে কলকাতার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন তিনি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে অম্বদীশ এদিন বলেন, "২০১৪ সালে পা ভেঙে যাওয়ার পরে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। প্রশাসনের কাছেও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ডের জন্য একাধিকবার গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার পর প্রাক্তন বিধায়কের কাছেও আমি গিয়েছিলাম। তবে এবার আর বিধায়কের কাছে যাইনি। কারণ, জানি তাঁর কাছে গেলেও কোনও কাজ হবে না। তিনিও এক কথা বলবেন। তাই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছি’’।

অম্বদীশের দাবি, তিনি 'দিদিকে বলো' ফোন নম্বরে ফোন করেছিলেন। তখন তাঁকে বলা হয়েছে, সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গিয়ে কথা বলতে। তাই জখম পা নিয়েও তিনি সাইকেলে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি বললেই তাঁর সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। গরিব হয়েও তিনি পঞ্চায়েতের থেকে কোনও প্রকল্পের অধীনে সুযোগ পাননি বলেই তাঁর অভিযোগ। এদিকে ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মন্ডল বলেন, "বিডিও অফিসে গেলেই স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড হয়ে যাবে।"

Durgapur
Advertisment