Advertisment

ভগ্ন পথে প্রাণ হাতে নিয়ে চলছেন কাঁকসাবাসী

দুর্গাপুর, কাঁকসা ব্লকের আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজবাঁধ এলাকা থেকে গ্রামে যাওয়ার প্রধান রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় দুর্ভোগের সম্মুখীন গ্রামবাসীরা। প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা পুরোটাই ভরা খানাখন্দে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
দুর্গাপুরের খবর, durgapur, durgapur news

বর্ষায় রাস্তার এমন ভাঙা কাঠামো সামনে এসেছে কাঁকসাবাসীর। ছবি- অনির্বাণ কর্মকার

বর্ষা আসতেই প্রকাশ্যে এল কাঁকসার রাস্তার জরাজীর্ণ কাঠামো। দুর্গাপুর, কাঁকসা ব্লকের আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজবাঁধ এলাকা থেকে গ্রামে যাওয়ার প্রধান রাস্তা বেহাল হওয়ায় চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন গ্রামবাসীরা। প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই ভরা খানাখন্দে। এমনকী রাস্তার দু'পাশে নর্দমা মজে গিয়েও নোংরা জল এসে পড়েছে রাস্তায়। যানজটের পাশাপাশি তাই দুর্ঘটনার শিকারও হতে হচ্ছে পথচারীদের।

Advertisment

publive-image জরাজীর্ণ পরিস্থিতি রাস্তার। ছবি- অনির্বাণ কর্মকার

ঠিক কী অভিযোগ?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ২ নম্বর জাতীয় সড়কের রাজবাঁধ এলাকা থেকে ওই রাস্তা আমলাজোড়া পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছে। মানিকাড়া, নতুন গ্রাম, বাবনাবেড়া, বিহারপুর সহ একাধিক গ্রামকে যুক্ত করেছে এই রাস্তা। রাজবাঁধ এলাকায় দোকানপাট এবং একটি বাসস্ট্যান্ড থাকায় জনবহুল হয়ে উঠেছে রাস্তাটি। কিন্তু ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা দিয়েই রাতের অন্ধকারে চলাচল করে অতিরিক্ত বালি বোঝাই অবৈধ লরি। এর ফলেই রাস্তার এই বেহাল অবস্থা৷ পাশাপাশি প্রশাসনের নজরদারির অভাব এবং নর্দমা সংস্কার না হওয়ার কারণেই যে এই দুর্ভোগ, তা নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। উল্লেখ্য, ওই মোড় থেকেই রাস্তাটির জরাজীর্ণ অবস্থা শুরু হয়েছে।

publive-image প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত। ছবি- অনির্বাণ কর্মকার

আরও পড়ুন- অবসরের এক যুগ পরেও বিনা বেতনে স্কুলে পড়িয়ে চলেছেন দৃষ্টিহীন শিক্ষক

স্থানীয় বাসিন্দা নীরঞ্জন হালদার, বাপি খাঁ, দেবরাজ ঘোষ ও প্রোথিত মণ্ডলরা রাস্তার বিষয়ে একমত। তাঁরা জানাচ্ছেন, "দীর্ঘদিন আগে রাস্তাটি সংস্কার হয়েছিল। রাজবাঁধ এলাকায় দোকানপাট থাকায় জল নিকাশির জন্য পাকা নর্দমাও তৈরি করা হয়েছিল। গ্রামের এই প্রধান রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন নর্দমা গুলি সংস্কার না করায় পলি পড়ে তা মজে গিয়েছে। ফলে নর্দমার দূষিত নোংরা জল রাস্তায় উপচে পরে খানাখন্দে জমে থাকছে। প্রায় সম্পূর্ণ রাস্তাটি ভেঙেচুরে কার্যত এখন বড় বড় খালে পরিনত হয়ে গিয়েছে"।

আরও পড়ুন- রাতের আঁধারে দরজা ভেঙে লক্ষাধিক টাকা চুরি অন্ডালে

জানা যাচ্ছে, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা হয় রাতে। রাতের অন্ধকারে এই রাস্তায় যাতায়াত যেন বিভীষিকাময় এলাকাবাসীর জন্য। রাস্তার দু'পাশে স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা হলেও প্রশাসন বিদ্যুৎ সরবরাহ না করায় এখনও আলোর পরিষেবা চালু হয়নি সেখানে। এই রাস্তার এমন করুণ অবস্থার জন্য জরুরি পরিষেবার অ্যাম্বুলেন্স বা কোনও চারচাকা গাড়িও এখানে আসতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। কেন এই অবস্থা এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির? আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চয়নিকা পাল বলেন, "রাস্তাটি এখনও জেলা পরিষদের আওতায় আছে। রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে যাওয়ায় আমরা কারখানার বর্জ্য পদার্থ দিয়ে খানাখন্দ গুলি ভরাট করছি। জেলা পরিষদে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।"

দুর্গাপুরের সব খবর পড়ুন এখানে

Durgapur
Advertisment