শহর থেকে মফস্বল, সর্বত্রই এখন টোটোর দাপট। চলজলদি নিজের গন্তব্যে পৌঁছোতে আজকের দিনে টোটোর জুরি মেলা ভার। কিন্তু রাস্তায় বেআইনি ভাবে টোটো চালানোর ছবিও খুব একটা নতুন নয়। বেআইনি টোটো রুখতে প্রায়শই অভিযান চালায় প্রশাসন। দুর্গাপুরের বেশ কিছু এলাকায় অভিযানে নেমে ১৮টির মতো বেআইনি টোটো আটক করেছে পুলিশ। যে ঘটনায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ টোটোচালকদের একাংশ।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতন না পেয়ে রাস্তায় দুর্গাপুরের শতাধিক রক্ষী
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের প্রান্তিকা, গান্ধীমোড়, সিটিসেন্টার-সহ বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি টোটো অভিযানে নামে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা বৃহস্পতিবার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কোকওভেন থানার অন্তর্গত দুর্গাপুর স্টেশন বাসস্ট্যান্ডেও এই অভিযান চালান। প্রায় ১৮টি বেআইনি টোটো এদিন আটক করা হয়।
তবে দুর্গাপুরে বেআইনি টোটো অভিযানের নেপথ্যে মিনিবাস মালিকদের সংগঠনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে মিনিবাস মালিকদের সংগঠন বেআইনি টোটো আর অটো চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল। বাস মালিকদের অভিযোগ ছিল এইসব বেআইনি অটো আর টোটো চালকদের জন্য তাঁদের জীবিকা এখন সংকটে। দুর্গাপুরের বিভিন্ন রুটের মিনিবাস মালিকদের সংগঠন প্রতিবাদ পত্র বাসের সামনে লাগিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছিল। মনে করা হচ্ছে এরই প্রেক্ষিতে বেআইনি টোটো অভিযানে নামলেন জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। কোনোওভাবেই বেআইনি টোটো-অটো আর চালাতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। এ প্রেক্ষিতে টোটো চালকরা বলেছেন, ‘‘মিনিবাসের মালিকরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে তাঁদের মতো বেকার ছেলেদের পেটে লাথি মারছে’’।
দুর্গাপুরের সব খবর পড়ুন এখানে