
ঠিক কী অভিযোগ?
বাউড়ি পাড়ার বাসিন্দা ভগীরথ বাউড়ি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “গত পাঁচ বছর ধরে জল আসে না ঠিক ঠাক। জল আনতে যেতে হয় এক কিলোমিটার দূরে শ্মশানে। আগে দুটো কল ছিল এখন একটা টাইম কল আছে। যে জল বেরোয় তা খাওয়া যায় না।” তাঁর অভিযোগ ওই জলে বড়জোর ওই বাসন মাজা বা হাত পা ধোওয়া যায়। মলানদীঘি পঞ্চায়েতে জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয় না বলে অভিযোগ তাঁর।
জলসংকটে কাঁকসাবাসী কি বললেন?https://t.co/I4HBeRAoo9 pic.twitter.com/JQAtvq8UCT
— IE Bangla (@ieBangla) August 12, 2019
ওই এলাকারই আরেক বাসিন্দা নমিতা বিবি। তিনি বললেন, “ফ্ল্যাটের নোংরা জল ড্রেনের মধ্যে দিয়ে আমাদের বাড়ির ভেতর ঢুকছে। বিষাক্ত জলে আমাদের বাচ্চা থেকে সমস্ত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সি পি এম-এর সময় যে সামান্য কাজ হয়েছিল, তার পর থেকে আর কিছুই এ গ্রামে হয়নি”।
শুধু নর্দমার বিষাক্ত জলই নয়, রয়েছে ঝোপঝাড় ভর্তি এলাকা জুড়ে সাপ থেকে শুরু করে বিষাক্ত পোকামাকড়ের উপদ্রবও। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সব সমস্যার কথা গ্রাম পঞ্চায়েতে জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।
জলের অভাবে ধুঁকছে দুর্গাপুরের এই গ্রাম। কেন এই অবস্থা?https://t.co/I4HBeRAoo9 pic.twitter.com/wIvI5mTwJ4
— IE Bangla (@ieBangla) August 12, 2019
এলাকাবাসী অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁদের বক্তব্য, “ওই তৃণমূল নেতা ভোটের সময় বলেছিলেন সব হয়ে যাবে, ভোট পেরোনোর পর সব ভুলে গেছেন। এবার তাঁদের স্পষ্ট কথা, “এরপর থেকে আর বাড়িতে বলতে এলেও ভোট দেব না”।

আরও পড়ুন- অবসরের এক যুগ পরেও বিনা বেতনে স্কুলে পড়িয়ে চলেছেন দৃষ্টিহীন শিক্ষক
এলাকাবাসীর এই একরাশ অভিযোগ শুনে মলানদীঘি পঞ্চয়েত প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “জল নিয়ে আমার কাছে তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না। আমি এখন জানলাম। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। ফ্ল্যাটের দূষিত জল নিয়ে অভিযোগ আমার কাছে আগে এসেছিল। আমরা উপরমহলে বিষয়টি জানিয়েছি। এর পাশাপাশি জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজও শুরু হবে”।
দুর্গাপুরের সব খবর পড়ুন এখানে