অবশেষে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন দুর্গাপুরের দুই যমজ বোন রুমকি এবং ঝুমকি। বাড়ি ফিরে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন তাঁরা। যদিও মাঝপথে পড়া ছেড়ে আসার জন্য আক্ষেপও রয়েছে তাদের। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ থেকে ফিরে আসায় স্বস্তি পেয়েছেন তাঁদের মা।
Advertisment
রুমকি-ঝুমকির মা জানিয়েছেন, মেয়েরা যে প্রাণে বেচে ফিরতে পারবে, এই আশা তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মেয়েদের জন্য চিন্তায়। কিন্তু অবশেষে প্রশাসনের সহযোগিতায় দুজন বাড়ি ফিরেছে। তার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে জমজ দুই বোন বলছেন, যুদ্ধে যে হতে পারে এমন কোনও আঁচ তারা করতে পারেননি। রাতে ঘুমাতে গিয়ে তারা যুদ্ধ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। তারপর থেকেই শুরু হয় দেশে ফেরার প্রস্তুতি।
কিন্তু রাশিয়ার হানায় জর্জরিত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফেরা কঠিন হয়ে পড়ছিল। পাশাপাশি মাঝপথে পড়া ছেড়ে আসার জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করছেন তাঁরা। ভাবছেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক হয় তাহলে আবার ওই দেশে যাবেন। তবে যদি ভারত সরকার ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে কোনও সুযোগ সুবিধা দেয়, তাহলে পড়ুয়াদের জন্য খুব সুবিধাজনক হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কীভাবে বাড়ি ফিরলেন, সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে শিহরিত হয়ে উঠছিলেন দুই বোন। তাঁরা জানান, "হস্টেল থেকে বেরিয়ে বক্সার বলে একটা জায়গায় যাই। হেঁটে-ই যাই। সেখান থেকে হেঁটে পিসোচিনে। তার পর সেখান থেকে বাসে রোমানিয়া সীমান্তে। ঝুমকি বলেছেন, প্রায় ৬০ কিমি হেঁটেছি। খাবার-জল কিছুই ছিল না। একটা জায়গায় একটু স্যুপ আর অর্ধেক পাউরুটি খাই। ওই খেয়েই এতটা পথ হেঁটেছি। ইউক্রেন সেনা ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয় আমাদের। কী ভাবে রোমানিয়া বর্ডারে এসেছি আমরাই জানি।" এই বিভীষিকাময় এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করছে দুই বোনকে।