‘হরিয়ানা প্রথমবারের মতো এমন হিংসার সাক্ষী থাকল। এমন ঘটনা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়'। হরিয়ানার নুহতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘিরে মুখ খুললেন হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত সিং চৌতালা। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'যে বা যারা শান্তি বিঘ্নিত করে রাজ্যে অশান্তির আগুন ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সকলের দাঁড়ানো উচিৎ'। এর আগে তিনি কার্যত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রার আয়োজকদের দিকে তুলেছেন আঙুল।
দুষ্মন্ত বলেছিলেন, ‘যাত্রার আয়োজকরা যাত্রা নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য প্রশাসনকে জানাননি। তার কারণেই এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যারাই এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধ কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে'। হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত সিং চৌতালা রবিবার জোর দিয়েছিলেন যে গত সপ্তাহের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় যারা রাজ্যের "শান্তি ও ভ্রাতৃত্বকে বিঘ্নিত করেছে তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হব"। হিংসার ঘটনায় দুই হোমগার্ড সহ মৃত্যু হয় ৬ জনের।
হরিয়ানায় সাম্প্রদায়িক হিংসার কয়েক দিন পরে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) নেতা দুষ্মন্ত সিং চৌতালা রবিবার জোর দিয়ে বলেন, রাজ্যের জনগণকে লড়াই করতে হবে । যারা রাজ্যে "শান্তিকে বিপন্ন করে" হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছে তাদের যোগ্য জবাব দিতে হবে। চৌতালা আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) কর্মীরা ধর্মীয় মিছিল বের করার আগে নুহতে প্রশাসনকে পর্যাপ্ত তথ্য দেয় নি। যার ফলেই ঘটে গিয়েছে সংঘর্ষের ঘটনা।
অন্যদিকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর অসম্মতি প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে হিংসা "সুপরিকল্পিত" ছিল এবং মিছিলকে ব্যাহত করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছিল। ৩১ শে জুলাই ভিএইচপির মিছিলের ওপর আক্রমণের পরই শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় দুই হোম গার্ড এবং এক ইমাম সহ সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে হিংসা পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। হরিয়ানার বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে বিজেপি-জেজেপি সরকারের ব্যর্থতার ফলে এই হিংসার ঘটনা ঘটেছে।