Sharmistha Panoli Case: অপারেশন সিন্দুর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার আইনের ছাত্রী। এবার শর্মিষ্ঠা পনোলির মুক্তির দাবিতে জোরালো সওয়াল করলেন ডাচ সাংসদ। পাশাপাশি তিনি এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেন।
"এটাই কি গণতন্ত্র" ? অপারেশন সিন্দুর নিয়ে মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার হওয়া আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পনোলির হয়ে এভাবেই সুর চড়ালেন ডাচ সাংসদ। শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারির পরপর বিজেপির তরফে কলকাতা পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলা জুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বাঁধে। এবার সামনে এল ডাচ সাংসদেরও প্রতিক্রিয়া।
সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও আইনের ছাত্রী আইন শর্মিষ্ঠা পনোলির গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যেই শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়ালেন নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণপন্থী সাংসদ গির্ট উইল্ডার্স। তিনি শর্মিষ্ঠার মুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
মাধ্যমিকে প্রথম, HS-এ ষষ্ঠ, এবার JEE অ্যাডভান্সডে মেয়েদের মধ্যে 'দেশের সেরা' বাংলার দেবদত্তা!
কি বললেন ডাচ এমপি?
এক্স-এ উইল্ডার্স শর্মিষ্ঠাকে 'বীরের মর্যাদা' দিয়ে লিখেছেন, "শর্মিষ্ঠা পনোলিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত! মত প্রকাশের জন্য এভাবে এক ছাত্রীকে গ্রেফতার লজ্জাজনক ঘটনা। শুধুমাত্র সত্যি বলার জন্য তাঁকে হেনস্থা না করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গেই তিনি তাঁর পোস্টে #FreeSharmistha হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন।
কী নিয়ে রয়েছে বিতর্ক?
গ্রেফতারির পেছনে রয়েছে শর্মিষ্ঠার একটি ভিডিও। যা ইতিমধ্যেই 'ডিলিট' করা হয়েছে। সেখানে তিনি কিছু বলিউড তারকাকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিষয়ে নীরব থাকার জন্য সমালোচনা করেছিলেন। এই ভিডিওতে ধর্মীয় উস্কানি দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে এবং এরই ভিত্তিতে ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়।
ক্ষমা চেয়েও রেহাই পেলেন না শর্মিষ্ঠা
ভিডিও ডিলিট করে পনোলি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খোলা চিঠিতে নিঃশর্ত ক্ষমা চান এবং লেখেন, "আমি নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী। কারুর অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকলে আমি দুঃখিত।" কিন্তু তাতেও গ্রেফতারি এড়াতে পারেননি তিনি।
গ্রেফতার ও আদালতের নির্দেশ
কলকাতা পুলিশ শর্মিষ্ঠাকে শুক্রবার গুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করে। শনিবার আলিপুর আদালতে তাঁকে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে ১৩ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালত থেকে বেরিয়ে শর্মিষ্ঠা বলেন, “এটা গণতন্ত্র নয়, এটা হয়রানি। মত প্রকাশ করলেই যদি জেলে যেতে হয়, তাহলে গণতন্ত্র কোথায়?”
শর্মিষ্ঠা পনোলি কে?
সিম্বায়োসিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পনোলির সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া এক্স-এ তাঁর প্রায় ৮৫ হাজার এবং ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৯০ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। তিনি আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা।