রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাধের জলাধারের পলি না তোলা, রাজ্যকে না জানিয়ে বাধ থেকে জল ছাড়ার জন্যই প্লাবন পরিস্থিতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মানতে নারাজ ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। পলি তোলার কাজ দীর্ঘ দিন হয়নি তা অবশ্য মেনে নিয়েছে ব্যারেজের আধিকারিকরা। কিন্তু বাধের অতিরিক্ত জল রাজ্যের প্রতিনিধিকে জানিয়েই ছাড়া হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পর পরই এদিন ডিভিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (সিভিল) সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জল ছাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ডিভিসি-র নেই৷ জলাধার থেকে কত পরিমাণ জল কখন ছাড়া হবে তা ঠিক করার জন্য একটি কমিটি রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সদস্য ছাড়াও ডিভিসি-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সেই কমিটির সদস্য৷ ওই কমিটি যখন, যেমন নির্দেশ দেয় সেই অনুযায়ী জলাধারের গেট খোলা হয়৷
আরও পড়ুন- শাসক বা বিরোধী, ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্বেই অনড় মমতা
জল ছাড়া নিয়ে সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, গত কয়েকদিন কম বৃষ্টি হওয়ায় প্রথমে ডিভিসির জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৩৫ হাজার কিউসেক। পরে বৃষটিপাত বৃদ্ধি হওয়ায় দৈনিক সর্বাধিক ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরেই প্লাবন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ডিভিসি কর্তৃপক্ষ তাদের জলাধার থেকে পলি তোলার কথা বললেও কেন্দ্রীয় জল কমিশনব তা খারিজ করে দিয়েছে। ওই ডিভিসি কর্তার কথা অনুসারে পলি তুলতে খরচ পড়বে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া পলি তোলার কাছে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রাংশও প্রয়োজন। বিপুল খরচ ও যন্ত্রাংশজনিত বাধার কারণেই ডিভিসির জলাধার থেকে পলি তোলার কাজের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় জল কমিশন মান্যতা দেয়নি বলেই মনে করা হয়। ডিভিসি ওই কর্তা জানিয়েছেন, যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ডিভিসি তৈরি করা হয়েছিল, তার ৩৬ শতাংশ ধারণ ক্ষমতা এখন জলাধারগুলির রয়েছে৷
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন