Advertisment

লাঠির ঘায়ে নয়, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু DYFI নেতা মইদুলের: ময়না তদন্ত

রিপোর্টে উল্লেখ, মৃতের কিডনি, ফুসফুস, লিভার আগেই অসুস্থতার কারণে বিকল হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয় ধর্মতলায়। এক্সপ্রেস ফাইল ফটো

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে বাম যুব নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার। চূড়ান্ত ময়না তদন্তের রিপোর্টে এই উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে পুলিশের লাঠির ঘায়ে মৃত্যুর অভিযোগ কার্যত খারিজ করেছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এমনটাই খবর। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বামেদের নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাঁকুড়ার এই বাম যুব নেতা। তাঁকে ভর্তি করা হয় সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিমের নার্সিংহোমে। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ক্যামাক স্ট্রিটের একটা নার্সিংহোমে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেই নার্সিংহোমেই ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় মইদুলের। তারপর থেকে পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বামফ্রন্ট।

Advertisment

পুলিশের লাঠির ঘায়েই মইদুলের মৃত্যু এমন অভিযোগ করে সিপিএম নেতৃবৃন্দ। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিকে, কলকাতা পুলিশ মর্গে মইদুলের দেহের ময়না তদন্ত হয়। করা হয়েছিল ভিডিওগ্রাফিও। সোমবার চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পায় পুলিশ। সেই রিপোর্টে উল্লেখ, মৃতের কিডনি, ফুসফুস, লিভার আগেই অসুস্থতার কারণে বিকল হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেই আঘাত পড়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে। কিন্তু সেই আঘাত মৃত্যুর কারণ নয়। এমনটাই বলা হয়েছে ময়না তদন্তে।

এদিকে, এই ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক প্রশ্ন তোলে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। প্রথম প্রশ্ন অসুস্থ মিদ্দালে কোনও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি না করে কেন ফুয়াদ হালিমের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল? ক্যামাক স্ট্রিটের সেই নার্সিংহোমে মইদুলের অবস্থা খারাপ হলে কেন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি? যদিও ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল পুলিশ। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ায় এবার তদন্তে গতি আসবে। এমনটাই সুত্রের খবর।  

kolkata police DYFI Nabanna Abhijan Maidul Midda
Advertisment