Meenakshi Mukherjee At Sandeshkhali: ঘুরপথে সন্দেশখালিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডিওয়াইএফআই'য়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিল তাঁর দলবল। তবে, শেষরক্ষা হয়নি। সন্দেশখালির ভিতরে গ্রামে আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি বাম সংগঠনের কর্মীদের। পুলিশ তাদের আটকে দেয়। উর্দিধারীরা মিনাক্ষীদের জানিয়ে দেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সন্দেশখালির মধ্যে তাঁরা যেতে পারবেন না। যা শুনেই পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান এই বাম নেত্রী। মীনাক্ষী পুলিশকে প্রশ্ন করতে থাকেন, 'কেন যাব না? আমরা কি তাহলে চলে যাব? থানায় যাব কি? কী করব.. আরে বলুন কিছু'। জবাব দেয়নি পুলিশ। এরপরই তাঁর পথ আটকে রাখা বেশ কয়েকজনকে দেখে সন্দেশ প্রকাশ করেন ডিওয়াইএফআই'য়ের রাজ্য সম্পাদক।
আগেই সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ দাবি করেছেনযে, রাত্রিবেলা পুলিশের পোশাকে এসে তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মিনাক্ষীর প্রশ্নে এই সেই সন্দেহ যেন ফের চাগিয়ে উঠল।
আরও পড়ুন- Sandeshkhali Row: ড্যামেজ কন্ট্রোলে ফের সন্দেশখালিতে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী, মিনাক্ষীদের আটকাল পুলিশ
একসময় একদিকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, তাঁর ঠিক উল্টোদিকে পুলিশ ব়্যাফ। চলছে প্রবল বাদানুবাদ। তার মাঝেই হঠাৎ মিনাক্ষী বলে ওঠেন, 'তোমার নাম কী গো? তোমাদের নেমপ্লেট কোথায়?' তারপরই বলে ওঠেন, 'ছবি তোল, পুলিশের পোশাকে তৃণমূল কর্মীরা এসেছে। মুখ ঢাকা কেন? এরা পুলিশ তো?' তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো পুলিশকর্মীদের দেখে মিনাক্ষী বলেন, 'এদের নখ বড় কেন? নেলপলিশ পরে আছে পুলিশ কর্মী! এরা কেউ পুলিশের লোক নাকি। এদের নখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে এরা পুলিশের কর্মী নয়। সব তৃণমূল কর্মী।'
আরও পড়ুন- Sandeshkhali Unrest: ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! বাচ্চাদের নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন সন্দেশখালির বাবা-মায়েরা
পরে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'পুলিশ কী চাইছে সেটা ওদের জিজ্ঞেস করে দেখা হোক। ১৪৪ ধারা যদি থাকেও তাহলে ১৪৪-এ একজন যেতে পারে তো? পুলিশ যেভাবে বলবেন সেভাবে যাব। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তো বাধা নেই। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আছে। মানুষ জমি ফেরত চায়, শেখ শাহজাহানদের শাস্তি চায়। পুলিশ, মানুষ, বিডিওর সঙ্গে কথা বলতে চাই। এভাবে বেআইনিভাবে আটকাতে পারে না পুলিশ। এটাই হচ্ছে এই রাজ্যের পুলিশের চরিত্র।'
আরও পড়ুন- Sandeshkhali-Suvendu Adhikari: সন্দেশখালিতে নন্দীগ্রামের ছায়া দেখছেন, বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় ফেললেন শুভেন্দু
এই বাম নেত্রীর হুঁশিয়ারি, 'যদি চাষের জমি থেকে থাকে তাহলে তা কীভাবে ভেড়ি হয়ে গেল? আমাদের কাছে লিখিত সব রয়েছে। বেআইনি কাজ করছে। এই বেআইনি কাজের জন্য ওনার (পুলিশ আধিকারিক) বিরুদ্ধেই কমপ্লেন করব। মহিলা কমিশনে ওনার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করব, তারপর ওনার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকব। তারপরে উনি কোন বাড়িতে থাকেন, কোন থানাতে থাকেন, সেই থানাতেও কর্মসূচি হবে…এরাই রাতের অন্ধকারে, যারা কমপ্লেন করছে, তাদের বাড়ি ঘরদোর এরা ভাঙছে গিয়ে। যারাই কমপ্লেন করছে, তাদের ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। যারাই সাহস করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, এই পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকেই এরা ভয় দেখাচ্ছে।'