RPF busted smuggling racket: পাচারের আগে রেল পুলিশের তৎপরতায় বর্ধমান স্টেশনে ইতিপূর্বে টিয়া, ময়না ও মুনিয়ার মতো পাখি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু বাজপাখির বাচ্চাও যে এখন পাচারকারীরা পাচার করা শুরু করেছে সেটা মঙ্গলবারই আরপিএফের তৎপরতায় প্রকাশ্যে আসে।
RPF busted smuggling racket: পাচারের আগে রেল পুলিশের তৎপরতায় বর্ধমান স্টেশনে ইতিপূর্বে টিয়া, ময়না ও মুনিয়ার মতো পাখি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু বাজপাখির বাচ্চাও যে এখন পাচারকারীরা পাচার করা শুরু করেছে সেটা মঙ্গলবারই আরপিএফের তৎপরতায় প্রকাশ্যে আসে।
তল্লাশিতে ওই পাখি পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৬টি বাজপাখির বাচ্চা।
Eagle Smuggling racket busted: আকাশের রাজা বাজপাখি দুর্ধর্ষ শিকারি পাখি হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু এহেন শিকারি পাখির উপরেও এখন নজর পড়েছে পাখি পাচারকারীদের। যা রেল সুরক্ষা বাহিনী অর্থাৎ আরপিএফের তৎপরতায় মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন দুপুরে বর্ধমান স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে পাখি পাচারকারী শেখ সইদকে পাকড়াও করে আরপিএফ। তল্লাশিতে ওই পাখি পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৬টি বাজপাখির বাচ্চা। সে গুলিকে ঝাড়খণ্ডের গোমোতে নিয়ে যাওয়াই পাচারকারীর উদ্দেশ্য ছিল বলে আরপিএফ কর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জেনেছেন। এ দিনই আরপিএফ বাজপাখির বাচ্চাগুলি ও ধৃতকে বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে। বাজপাখি পাচার চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে বন দফতর।
Advertisment
পাচারের আগে রেল পুলিশের তৎপরতায় বর্ধমান স্টেশনে ইতিপূর্বে টিয়া, ময়না ও মুনিয়ার মতো পাখি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু বাজপাখির বাচ্চাও যে এখন পাচারকারীরা পাচার করা শুরু করেছে সেটা মঙ্গলবারই আরপিএফের তৎপরতায় প্রকাশ্যে আসে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, “পাহাড়ি বাজপাখির বাচ্চা মূলত বিহার বা ঝাড়খণ্ড থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। তারপর বর্ধমান থেকে সেগুলির হাত বদল হচ্ছে। শিয়ালদহ থেকেও হাত বদল হচ্ছে। এরপর বাজপাখির বাচা বনগাঁ সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে, মায়ানমার-থাইল্যান্ড হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যাচ্ছে“।
কিন্তু কেন অন্য পাখি ছেড়ে এখন বাজপাখির বাচ্চার উপর পাখি পাচারকারীদের নজর পড়ল? এর উত্তরে বন দফতরের এক শীর্ষ কর্তার দাবি,, “মধ্যপ্রাচ্যের এক শ্রেণির মানুষের শখ রয়েছে বাজপাখি পোষার। সেই কারণে তাঁরা মোটা টাকা দিয়ে বাজ পাখি কিনে থাকেন। বাচ্চা অবস্থায় না কিনলে বাজ পাখিকে পোষ মানানো কঠিন, তাই তাঁরা বাজপাখির বাচ্চাই মোটা টাকার বিনিময়ে কিনে থাকেন। টাকার লোভেই এখন পাখি পাচারকারীদের কুনজর পড়েছে বাজপাখির বাচ্চাদের উপরে“।
আরপিএফ বাজপাখির বাচ্চাগুলি ও ধৃতকে বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে।
Advertisment
আরপিএফ জানিয়েছে, একটি বাজারের থলি নিয়ে এদিন বর্ধমান স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে অনেকক্ষণ ধরে ঘুরছিল শেখ সইদ নামের ওই ব্যক্তি । তা দেখে আরপিএফের জওয়ানদের সন্দেহ হয়। ওই ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে আরপিএফ তাঁরা থলিতে তল্লাশি চালায়। তখন তাঁর কাছে থাকা থলির ভিতরের দু’টি খাঁচা থেকে ৬টি বাজ পাখির বাচ্চা মেলে। আরপিএফের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে সইদ স্বীকার করেছে, জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস ধরে বাজপাখির বাচ্চাগুলিকে ঝাড়খন্ডের গোমোতে নিয়ে যাওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। সেখানে একজনের হাতে তিনি বাজপাখির বাচ্চাগুলি তুলে দিতেন। আরপিএফ এ দিনই বাজপাখির বাচ্চাগুলি ও ধৃতকে বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে।
বন দফতর সূত্রে জানা যায়, বর্ধমানের হাটুদেওয়ান এলাকার শেখ সইদ মূলত বাজপাখির বাচ্চাকে বহন করে (ক্যারিয়ার) নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দিত। তাঁকে জেরা করে বন দফতর জানতে পেরেছে, শিয়ালদহের আশেপাশে বাজপাখির বাচ্চাকে নিয়ে নিত আরেক ক্যারিয়ার। তার বিনিময়ে কয়েক হাজার টাকা পেয়ে থাকে ক্যারিয়াররা। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী বাজপাখি ধরা ও বিক্রি অপরাধ। তাই ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা করছে বনদফর বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে। পাখিগুলির শারীরিক পরীক্ষার জন্যে কিছু দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তারপরে নির্দিষ্ট জায়গাতে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতরে তরফে জানানো হয়েছে।