গান্ধীজয়ন্তীর সন্ধ্যাতেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলা। সোমবার বিকেলে কম্পন অনুভূত হয় রাজ্যের একের পর এক জেলায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। কম্পনের অনুভূতি সবচেয়ে বেশি ধরা পড়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং শিলিগুড়িতে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল মেঘালয়। এর আগে গত আগস্টেও বাংলায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেবার সিলেটের কাছে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। সেই সময় কেঁপে উঠেছিল শহর কলকাতাও। পাশাপাশি, মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনাতেও। তার দু'মাসের ব্যবধানে এই কম্পন অনুভূত হল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ নাগাদ মেঘালয়ের উত্তর গারো পাহাড়ে এই কম্পন হয়েছে। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে। তার জেরে বাংলার একাধিক জেলা কেঁপে ওঠে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয় কম্পনের ভালো প্রভাব পড়ে। মোট ১৮ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভরা সন্ধ্যায়, সেই সময় রাস্তাঘাটে লোকজন যাতায়াত করছেন। বাজারে ব্যস্ততা রয়েছে। বিভিন্ন বাড়িতে চলছে সন্ধ্যার খাবার-দাবারের আয়োজন। সেই সময় কম্পন অনুভূত হয় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয়।
যাঁরা চেয়ারে বসেছিলেন, অনুভব করেন যে চেয়ারটা আচমকা নড়ে উঠেছে। যাঁরা খাটে বসে টিভি দেখছিলেন, তাঁরা বুঝতে পারেন যে টিভি দুলছে, খাটটাও নড়ছে। এই পরিস্থিতিতে যথারীতি বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। কারণ, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোকে আগেই ভূমিকম্পপ্রবণ বলে তালিকায় রেখেছেন ভূতত্ত্ববিদরা। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ভয়ে বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। বিভিন্ন হিন্দু বাঙালি বাড়িতে শুরু হয়ে যায় উলুধ্বনি এবং শঙ্খধ্বনি দেওয়া।
আরও পড়ুন- বাংলায় বন্যা আশঙ্কা! জলমগ্ন হতে পারে কোন কোন জেলা?
এমনিতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এখন বৃষ্টিতে রীতিমত সিক্ত। তার মধ্যে এই কম্পন। স্বভাবতই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে শুরু হয়ে যায় কে, কেমন আছে তার খোঁজ নেওয়া। তারপরই প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট করা হয় যে মেঘালয়ে ভূমিকম্প হয়েছে। সেই ভূমিকম্পেরই প্রভাব পড়েছে বাংলার জেলাগুলোয়। তাই কম্পন অনুভূত হয়েছে।