পূর্ব বর্ধমানের কাঁকসার রাজকুসুম গ্রামে প্রায় পাঁচশো বছর ধরে এই কালীপুজোর আয়োজন। ঘন জঙ্গলের ভিতরে সাড়ম্বরে এদিনও পালিত হল বনকালীর পুজো। শাস্ত্রমতে কালীপুজোর ঠিক পরের দিন কাঁকসায় এই পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এই পুজোর রীতি-রেওয়াজ আজও অটুট।কাঁকসার গোপালপুরের ভট্টাচার্য পরিবার এবং রাজকুসুম গ্রামের রায় পরিবারের এই যৌথ পুজো ঘিরে আজও এলাকায় উন্মাদনা তুঙ্গে।
Advertisment
প্রতিবারের মতো এবারও কালীপুজোর ঠিক পরের দিন কাঁকসার রাজকুসুম গ্রামে সাড়ম্বরে শ্যামার আরাধনা। এ তল্লাটে বনকালী নামে খ্যাত মা কালী। রায় পরিবারের বংশধররা আজও এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত। রায় পরিবারের সদস্যরা জানালেন, প্রায় পাঁচশো বছর ধরে এখানে পুজো চলছে।
এক সময় এখানে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে বনকালীর পুজো দেওয়া হতো। পরে এখান থেকেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় কাঁকসার গোপালপুরে ভট্টাচার্য পরিবারের মন্দিরে। যেটি বর্তমানে গোপালপুরের বড় কালী নামে পরিচিত।
কালীপুজোর পরের দিন সকাল থেকেই বনকালীর পুজো দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায় কাঁকসার রাজকুসুম গ্রামে। পানাগড়, কাঁকসা সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার-হাজার ভক্ত এখানে ভিড় জমান।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবারও পুজো দেখতে ভক্তদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, বনকালী মায়ের অলৌকিক শক্তি রয়েছে। প্রতি বছর মনস্কামনা পূর্ণ করতে অনেকে মানত করে থাকেন। বনকালী মাতা ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। পুরনো রীতি মেনেই চলে দেবীর আরাধনা। দেবীকে তুষ্ট করতে আজও এই পুজোয় দেওয়া হয় বলি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন