Offbeat Holiday Destination: দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা থেকে দিন কয়েক ফাঁক পেলেই বেড়ানোর প্ল্যান করে বাঙালি। পাহাড় হোক বা জঙ্গল কিংবা সমুদ্র, বেড়ানোর সুযোগ এলে তা আর যেতে দিতে মন চায় না কারও। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির একটা বড় অংশের পছন্দ হল সমুদ্র। তবে দিন কয়েকের আরাম নিতে অনেকেই একটু নিরিবিলি-কোলাহলহীন জায়গার খোঁজ করেন। ইঁদুর দৌড়ের জীবন থেকে দিন কয়েকের স্বস্তি নিতে অনেকেই অফবিট ডেস্টিনেশনে যেতে চান। এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি অফবিট সি-বিচের হদিশ মিলবে। কলকাতার কাছেই এই সাগরপাড় এককথায় অসাধারণ।
দিঘা, পুরী মন্দারমণি তো অনেক হল, এবার যান বাঁকিপুটে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই সমুদ্র সৈকতটি নতুন আবিস্কার না হলেও এতল্লাটে পর্যটকদের আনাগেনা বছরভর কমই থাকে। নিরিবিলি, নির্জন প্রান্তে তাই দু'একদিন অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতায় কাটানোর সুযোগ মিলবে। দিন কয়েকের এই সফর আপনাকে একেবারে স্ট্রেসহীন করে দেবে। সদা ব্যস্ত জীবন থেকে দিন কয়েকের আরাম নিতে হলে পূর্ব মেদিনীপুরের এই অপূর্ব সমুদ্রতট একেবারে পারফেক্ট চয়েজ।
আরও পড়ুন- শান্ত-নিরিবিলি অপূর্ব এক সমুদ্রতট, মনের ক্লান্তি কাটাতে এজায়গার জুড়ি মেলা ভার!
বিস্তীর্ণ সাগরতটের গা ঘেঁষে সারি দিয়ে রয়েছে ঝাউগাছ। মূলত সমুদ্রের টানেই এতল্লাটে যান পর্যটকরা। ঝাউবনে দিনভর পাখির কলকাকলি গোটা পরিবেশেই একটা দারুণ মাদকতা এনে দেয়। ঘণ্টার পর কাটিয়ে দিতে পারেন সমুদ্র ঘেঁষা ঝাউবনে। এছাড়াও এখানে বেড়াতে এলে উপরি পাওনা সাগরতট জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো লাল কাঁকড়ার দেখা পাওয়া। এক কথায় বঙ্গোপসাগরের তীরে নিরিবিলিতে উইকেন্ড কাটানোর সেরার সেরা ঠিকানা হল এই বাঁকিপুট।
বাঁকিপুটের গা ঘেঁষেই রয়েছে ইংরেজ আমলে তৈরি হওয়া বাতিঘর। মন চাইলে সমুদ্রপাড় দিয়ে হাঁটা লাগিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন দরিয়াপুরের বাতিঘরে। বাতিঘরের মাথায় উঠে গোটা বাঁকিপুটের সৌন্দর্য্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগের সুযোগ মিলবে। এছাড়াও এই এলাকাতেই রয়েছে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুন্ডলার মন্দির। চাইলে সেখান থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন। দীঘা, মন্দারমণিও এই এলাকার খুব কাছে।
আরও পড়ুন- সমুদ্র আর ম্যানগ্রোভের অপূর্ব মিশেল, বর্ষায় কলকাতার কাছের এই সাগরতট এককথায় অনবদ্য!
কীভাবে যাবেন বাঁকিপুটে?
কলকাতার দিক থেকে গাড়িতে গেলে ৪ নং জাতীয় সড়ক ধরুন। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পৌঁছে গেলে সেখান থেকে মেরেকেটে ১৪ কিলোমিটার পথ পেরোলেই পড়বে এই বাঁকিপুট। ট্রেনে গেলে আপনাকে নামতে হবে কাঁথি স্টেশনে। সেখান থেকে টোটো বা ছোট গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন বাঁকিপুটে।
আরও পড়ুন- বর্ষায় কলকাতার কাছের এই সি-বিচ আরও রঙিন! সৌন্দর্য্যে টেক্কা দিঘা-পুরীকেও
বাঁকিপুটে কোথায় থাকবেন?
বাঁকিপুটে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল বা লজ রয়েছে। বাজেট অনুযায়ী এসি, নন এসি সব রকমের ঘরই পেয়ে যাবেন। হোটেলভাড়া কম-বেশি ১২০০ টাকা থেকে শুরু। বেড়ানোর ভরা মরশুমে গেলে আগে থেকে হোটেল বুক করে যাওয়াই ভালো। তবে অফ সিজনে বাঁকিপুটে পৌঁছেও হোটেল বুক করতে পারেন।