Cyclone Remal Update: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Remal)। আগেভাগে চূড়ান্ত সতর্ক পূর্ব রেল। আগামী ২৬ মে রবিবার গভীর রাতেই আছড়ে পড়তে চলেছে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়াও পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে।
হাওড়া ও শিয়ালদহের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজাররা ইতিমধ্যেই শাখা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।
শিয়ালদহ ডিভিশনে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি:
জরুরি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হচ্ছে। ২৫ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত জরুরি বিভাগে পর্যাপ্ত কর্মী মোতায়েন রাখা হচ্ছে।
রেললাইনের যে এলাকায় জল জমার আশঙ্কা রয়েছে সেখানে বেশি সংখ্যায় কর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব জায়গায় পাম্প বসানো হবে।
পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটলে যাত্রীদের সুবিধার্থে সব স্টেশনে ঘন ঘন ঘোষণার বন্দোবস্ত থাকছে।
প্রবল ঝড়ে প্ল্যাটফর্ম শেডের ক্ষতি হলে সম্ভাব্য জায়গাগুলিতে প্লাস্টিকের শিট প্রচুর পরিমাণে রাখা হচ্ছে।
শিয়ালদহ ডিভিশনে ইতিমধ্যেই হেল্পলাইন নম্বর (033-23508794) চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: < Cyclone Remal: ফুঁসছে রেমাল, কাঁপছে বাংলা, তুফানি গতিতে ‘ল্যাণ্ডফল’, জানুন ঘূর্ণিঝড়ের একেবারে লেটেস্ট আপডেট >
হাওড়া ডিভিশনে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি:
কন্ট্রোল রুমগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কর্মী মোতায়েন করা হবে। ডিভিশনের আধিকারিকরা সবসময় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবেন।
যে এলাকাগুলিতে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কর্মী মোতায়েন রাখা হচ্চে। জমা জল পরিষ্কার করার জন্য পাম্পগুলি সব জায়গায় প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
ট্রেন চলার পরিস্থিতি সম্পর্কে যাত্রীদের সচেতন করার জন্য পাবলিক অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেম ঘন ঘন ব্যবহার করা হবে।
টাওয়ার ওয়াগন এবং ওভারহেড ওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ ক্রুদের কৌশলগত অবস্থানে প্রস্তুত রাখা হবে।
বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে।
বড় স্টেশনগুলিতে ডিজেল জেনারেটর এবং জরুরি পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেম সক্রিয় করা হবে।
কোনও রোলিং এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে রেকগুলির স্ট্যাবলিং করা হবে।
হাওড়া ডিভিশনও একটি হেল্প লাইন নম্বর জারি করেছে। (033-26413660)
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিমান। রবিবার দুপুর ১২টা থেকে ২১ ঘণ্টার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ওই তিন জেলার উপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আকাশের মুখ ভার।
আরও পড়ুন - < Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড় রেমাল, কেন এই ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম? কেনই বা ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়? >
দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুরে কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। কলকাতাতেও এদিন সকালে বেশ কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। বর্ধমান, হাওড়া, হুগলিতেও সকাল থেকে শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টি। রেমালের জেরে রেল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় সতর্ক রেল। একাধিক স্টেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও বাতিল করা হয়েছে দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন।