Eastern Railway: পুরী আর বাঙালি সমার্থক। কোনও না কোনও বাহানায় বছরে একবার কি দু'বার পুরী যেতেই হবে। তা আবার যদি রথযাত্রা হয় তো কথাই নেই। এবারও রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা আাকাশছোঁয়া। সেই কারণে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল।
রথযাত্রা আপামোর বাঙালির আবেগের সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে। কখনও না কখনও রথের মেলায় যাননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই উৎসব বাংলা এবং ওড়িশার জনগণকে হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করে। জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা রথে অবস্থান করছেন আর অগণিত জনতা সেই রথের দড়ি টানছে এবং রথ এগিয়ে চলেছে - এই দৃশ্য দেখার জন্য সারাবছর বাঙালি ব্যাকুল হয়ে থাকে।
তাই, প্রতি বছর রথযাত্রার সময়ে কলকাতা থেকে ওড়িশা কিংবা পুরীগামী ট্রেনে টিকিট পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব। এবছরও এর কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। পূর্ব রেল রেল জানিয়েছে, ২২২০১ শিয়ালদহ - পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেসে ৫ই জুলাই স্লিপার ক্লাসে অপেক্ষমান তালিকা ৯৩, তৃতীয় শ্রেণীর বাতানুকূল কোচে অপেক্ষমান তালিকা ২৯ এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর বাতানুকূল কোচে অপেক্ষমান তালিকা ১৬। এই সমস্যার সুরাহা করতে পূর্বরেল আগামী ৬ এবং ১৩ জুলাই শিয়ালদহ থেকে খুরদা রোড যাওয়ার স্পেশাল ট্রেনের (স্পেশাল ট্রেন নং ০৩১০১) ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন- Ariadaha Lynching Case: আড়িয়াদহের “জায়ান্ট” সিং বাহুবলী অধরাই, অত্যাচারী লেখা ছবি সহ পোস্টার “গুন্ডারাজ নিপাত যাক”
যে ট্টেনটি শিয়ালদহ থেকে মধ্যরাত ১২:০৫ মিনিটে ছেড়ে সেইদিনই সকাল ০৮:৩০ টায় খুরদা রোড পৌঁছাবে। শুধু কলকাতা বা তার আশেপাশের বাসিন্দারা নয়, বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকছে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জন্যও। পূর্ব রেল জানিয়েছে, অপর একটি স্পেশাল ট্রেন (স্পেশাল ট্রেন নং ০৩৪১৯) মালদা টাউন থেকে ছেড়ে ৪ঠা জুলাই এবং ১১ জুলাই সকাল ০৯:৩০ টায় ছেড়ে পরের দিন ভোর ০৩:৫৫ মিনিটে মালতিপাতপুর স্টেশনে পৌঁছবে। খুরদা রোড এবং মালতিপাতপুর এই দুটি স্টেশনই পুরীর খুব কাছাকাছি।
PRS ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। যাত্রীদের অনুরোধ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকিট কেটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে রথযাত্রার দিনগুলি উপভোগ করুন।