Advertisment

নস্যাৎ বিরোধী দাবি? এবারের ভোটে ঢালাও মনোনয়ন? হাইকোর্টে 'বিরাট তথ্য' কমিশনের

পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা নিয়ে পরিসংখ্যান-সহ হলফনামা পেশ নির্বাচন কমিশনের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ec gives affidafit regarding nomination in panchayat polls

মনোনয়ন পরিসংখ্যান নিয়ে হাইকোর্টে হলফনামা কমিশনের।

২০১৮-এর চেয়ে ২০২৩-এ মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘটনা অনেক কম। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পরিসংখ্যান-সহ হলফনামা পেশ করে দাবি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও কমিশনের এই পরিসংখ্যানের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।

Advertisment

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পরিসংখ্যান-সহ একটি হলফনামা পেশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০১৮-এর পঞ্চায়েত ভোটে ১,৩৩,৬৭৩টি মনেনায়নপত্র জমা পড়েছিল। যার মধ্যে ২৩,৬১৯টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। সেবার মনেনায়ন প্রত্যাহার হার ছিল ১৭.৬৬ শতাংশ। তবে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে সেই পরিস্থতির আমূল বদল হয়েছে বলে দাবি করেছে কমিশন।

আরও পড়ুন- Exclusive: দুই জা দু’দলের প্রার্থী, বউমাদের ‘মোক্ষম শিক্ষা’ দিতে জমাটি ছকে ময়দানে শাশুড়িও!

হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২,২৮,১৫৮টি বৈধ মনোনয়ন জমা পড়েছিল। যার মধ্যে ২০,৬১২টি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। শতাংশের হিসেবে এবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার ৯.০৩ শতাংশ। এরই পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত ৭৫৪টি অভিযোগ কমিশনে এসেছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। এছাড়াও হলফনামায় এদিন আদালতে কমিশন জানিয়েছে, আগের ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতি ও ভোটারদের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই মর্মে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- মতুয়াদের ধর্মগুরুর নাম ভুল উচ্চারণ, ভোটের মুখে মমতাকে ঝাঁঝালো আক্রমণ নওশাদের

যদিও নির্বাচন কমিশনের এই হলফনামা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'এই সংখ্যাটা কতটা সত্য এটা দেখা দরকার। ২ লক্ষ মনোনয়নপত্রের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার বাতিল। আগের বার ১ লক্ষ মনোনয়নপত্রের মধ্যে ২৩ হাজার বাতিল বা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এর থেকে বোঝা যায়, এবার মনেনায়ন জমা পড়েছে বেশি। আগেরবার মনোনয়ন জমাই করতে দেয়নি। এবার মনোনয়নের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সংখ্যা তাই আগের বারের সঙ্গে মিলবে না। মনোনয়নের শেষ দিনে তৃণমূল গোছা ধরে মনোনয়ন দিয়েছে।'

আরও পড়ুন- কলকাতা হাইকোর্টে পরিবর্তন! বদলালো বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচার্য বিষয়?

অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'ভুল অঙ্কে নির্বাচন কমিশন চললে সেটা দুর্ভাগ্যের। ২০১৮ সালে ৩৪ শতাংশ আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি। ২০ হাজার মনোনয়ন দিতে পেরেছিল সিপিএম। এবার লড়াই করে মনোনয়ন দিয়েছে দ্বিগুণের বেশি। কমিশন এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করছে। গতবার তৃণমূলের বাহিনী এমনভাবে ছিল যাতে কেউই মনোনয়ন দিতে না পারে। সব চেষ্টা করেও এবার মনোনয়নটাকে পুরোপুরি আটকাতে পারেনি। এবার মানুষ প্রতিরোধ করেছে।'

kolkata highcourt West Bengal nominations State Election Commission bengal panchayat election 2023 panchayat election 2023
Advertisment