৮০০ চেয়ে মিলল মাত্র ৩১৫। পঞ্চায়েত ভোটে আপাতত মাত্র ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীই মঞ্জুর কেন্দ্রীয় সরকারের। মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগেই ২২ কোম্পানি বাহিনী দেওয়ার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল মোদী সরকার। তবে রাজ্যের মোট ৮২২-র বদলে আপাতত মাত্র ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথাই জানিয়েছে কেন্দ্র। সুতরাং, রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার আরও ৪৮৫ বাহিনী চেয়ে আবেদন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আদালতের নির্দেশ পেয়ে গতকালই ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী মঞ্জুর করার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর ফের আরও ৪৮৫ বাহিনী চেয়ে আবেদন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে কি রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে মিলবে না পর্যাপ্ত সংখ্যায় আধাসেনা? কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতে সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ, কী নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের?
এদিকে, রাজ্যের বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট একাধিক দফায় করার দাবি তুলেছেন। তাঁদের যুক্তি, এক দফায় ভোট হলে কখনই ৮০০ কোম্পানি বাহিনী দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভবপর হবে না। সেই কারণে দফায়-দফায় ভোট করে বাহিনী আনা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা কোনও সরকারই পারবে না। গতবার পাঁচ দফায় ভোট হয়েছিল। এবারও একাধিক দফায় ভোট হোক।'
এই পর্বে আপাতত রাজ্যকে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ৫০ কোম্পানি, বিএসএফ থাকবে ৬০ কোম্পানি। ২০ কোম্পানি আইটিবিপি, ২৫ কোম্পানি এসএসবি , ২০ কোম্পানি আরপিএফ আসছে বাংলায়। আর ২০ কোম্পানি আরপিএফ, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স মিলিয়ে থাকবে মোট ২০০ কোম্পানি। বাকি ১২টি রাজ্য থেকে স্পেশাল আর্মড পুলিশ ফোর্স থাকবে ১১৫ কোম্পানি বলে খবর।