/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/01/election-commission-of-india-publishes-draft-electoral-rolls-for-bihar-following-sir-2025-08-01-16-45-54.jpg)
বিহার বিতর্কের জেরে সতর্ক কমিশন, দেশজুড়ে SIR কার্যকর করতে মেগা 'মাস্টারপ্ল্যান'
বিহার বিতর্কের পর সারাদেশে ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু করার আগে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে পরামর্শ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন- পুজোর আগে যাত্রী স্বার্থে মারকাটারি উদ্যোগ কলকাতা মেট্রোর, নয়া পরিষেবা প্রশংসা সর্বত্র
বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision - SIR) ঘিরে বিতর্কের পর এবার সারাদেশে ভোটার তালিকা সংশোধন শুরুর আগে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (EC)। সূত্র অনুযায়ী, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা (CEO) এই পরামর্শ বৈঠক করবেন। তবে বিহারের ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন-উত্তাল বিক্ষোভে ধুন্ধুমার, ব্যাপক হিংসা,লাঠিচার্জ, মৃত্যুমিছিল... জ্বলল বিজেপির পার্টি অফিস
গত ২৪ জুন নির্বাচন কমিশন একটি জাতীয় পর্যায়ের বিশেষ নিবিড় সংশোধনের নির্দেশ জারি করে। এর ফলে সমস্ত ভোটারদের নতুন ফর্ম পূরণ করতে হয় এবং যারা সর্বশেষ নিবিড় সংশোধনের পর ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন, তাদেরকেও যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। প্রথমে বিহারে এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়, কারণ রাজ্যে শীঘ্রই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, বিহারে এই সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে।
তবে এবার জাতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে রাজনৈতিক দলগুলিকে আগে থেকেই আলোচনায় সামিল করা হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। বিহারে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ৭.৮৯ কোটি নিবন্ধিত ভোটারকে ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়েছিল। গোটা প্রক্রিয়ায় ৬৫ লক্ষ নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বুথ লেভেল অফিসাররা তাদের মৃত, স্থান পরিবর্তিত, বহুমুখী তালিকাভুক্ত বা অনুপস্থিত হিসেবে চিহ্নিত করেন। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন-উত্তাল রাজপথ, পুজোর মুখে এসএসসি প্রার্থীদের বিক্ষোভে তুলকালাম
এই সংশোধন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন আসলে গোপনে NRC তৈরির চেষ্টা করছে। তবে কমিশন তাদের জবাবে জানায়, ভারতীয় সংবিধানের ৩২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটার তালিকায় স্থান পেতে পারেন। সেই কারণে নাগরিকত্ব যাচাই করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। কমিশনের দাবি, এই প্রক্রিয়ার ফলে কারও নাগরিকত্ব বাতিল হবে না।
বিহারের ক্ষেত্রে আরও কঠোর নীতি নেওয়া হয়েছিল। ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারির পর যারা ভোটার হয়েছেন, তাদের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান প্রমাণ করতে হয়। ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জন্মানো ভোটারদের এক অভিভাবকের জন্ম সংক্রান্ত নথি জমা দিতে হয়। আর ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বরের পর জন্মানোদের ক্ষেত্রে উভয় অভিভাবকের জন্ম প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়েছে। এই নিয়মগুলি ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us