Bengal Election: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পাঁচ আসনের উপনির্বাচন এবং দুই আসনের নির্বাচন ঝুলে। সেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে উদ্যোগ নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সিইও আরিজ আফতাব পাঁচ জেলার নির্বাচন আধিকারিককে চিঠি লিখেছেন। ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষা করে রাখতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, কোচবিহার, নদীয়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর কলকাতা দক্ষিণ। এই পাঁচ জেলার দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা এবং ভবানীপুর এই পাঁচ আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর আসনে বিধানসভার ভোটগ্রহণ সেই এপ্রিল মাস থেকে ঝুলে। প্রথমে ১৩ মে এই দুটি আসনে ভোটগ্রহণ ঘোষণা হলেও, করোনার কারণে পিছিয়ে যায় সেই সূচি।
ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল সিইও অফিসে গিয়ে অবিলম্বে ঝুলে থাকা উপনির্বাচন সম্পন করতে আর্জি জানিয়ে এসেছে। যদিও আগে পুরভোট নয় কেন? এই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এই আবহে জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের সিইও’র চিঠি ফের ভোট প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছে শাসক দল। সম্ভবত সেপ্টেম্বরকে মাথায় রেখে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কবে উপনির্বাচন কিংবা ওই দুই আসনে নির্বাচন, এখনও স্পষ্ট করেনি কমিশন। একমাত্র রাজ্যের দুটি রাজ্যসভার আসনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে।
আগামি ৩-৬ অগাস্টের মধ্যে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা সেরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। এই মুহূর্তে বিধায়কের মৃত্যু এবং পদত্যাগের কারণে ৫টি আসন জনপ্রতিনিধিহীন।সংবিধান মেনে নভেম্বরের মধ্যে এই ৭ আসনে নির্বাচন সম্পন্ন করতেই হত। কিন্তু তৃণমূলের আশঙ্কা রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করতে বিজেপি ছলেবলে এই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে। তাই শাসক দল জোর দৌত্য শুরু করেছিল। তার ফলেই আরিফ আহমেদের এই চিঠি। এমনটাই ধারণা তৃণমূলের একটি সূত্রের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন